ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা ইসরোর মুকুটে আরেক নতুন পালক জুড়তে চলেছে চন্দ্রযান-দুই। আজ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান অভিযান ৷ প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই প্রজেক্ট ৷ যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় হলিউড ব্লকব্লাস্টার অ্যাভেনঞ্জার্স এন্ড গেমের তৈরি খরচ থেকেও অনেক কম ৷ মার্ভেল সুপার হিরোদের নিয়ে তৈরি এই সিনেমার বাজেট ছিল ২,১৬৯ কোটি টাকা ৷
প্রজেক্ট ডিরেক্টর মুথাইয়া বনিতা ইসরো-তে একমাত্র মহিলা প্রজেক্ট ডিরেক্টর ৷ চন্দ্রযান-২-এর অভিযানে প্রোজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে হার্ডওয়্যারের ডেভলপমেন্টের দায়িত্ব এনারই হাতে ৷ ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক বনিতা, ২০০৬ সালে তিনি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ‘সেরা মহিলা বিজ্ঞানী’র পুরস্কারও পেয়েছেন।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ করেন রীতু কারিঢাল শ্রীবাস্তব ৷ মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে নিয়েই আবেদন করেন ইসরোতে ৷ মেধাবী ছাত্রীর ডাক পড়তে দেরি হয়নি ৷ উৎক্ষেপণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে ৷ ২০০৭-সালে এপিজে আব্দুল কালামের হাত থেকে ইসরোর সেরা নবীন বিজ্ঞানী-র পুরস্কার পান রীতু ৷ এখন তাঁর পরিচিত ‘রকেট ওম্যান অফ ইন্ডিয়া’ ৷
ভারতের ‘মুন ওয়াক’ ৷ ২০ ঘণ্টার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে রবিবারই সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে৷ আজ ঠিক দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে ভারতের চন্দ্রযান ২৷ মহাকাশ বিজ্ঞানে ইতিহাস লিখবে ভারত৷ গত ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার একেবারে আঁটঘাট বেঁধে নামছে ইসরো৷ GSLV মার্ক থ্রি রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হবে চন্দ্রযান ২৷ ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। ৪৩.৪৩ মিটারের GSLV মার্ক থ্রি ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট৷ এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরু হচ্ছে কোনও অভিযান ৷
চন্দ্রযান-এক অভিযানেই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরেছিল অরবিটার। বর্ণালী বিক্ষণ করে জানিয়েছিল উত্তরমেরু অঞ্চলে প্রচুর পরিমান জলের উপস্থিতি। এবার আর কক্ষপথে ঘোরা নয়। সোজা নামছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রুক্ষ জমিতে। যেখানে সূর্যের আলো পৌছায় না। ফলে লুকিয়ে থাকতে পারে ফসিলাইজড ডাটা। রোভার যান ‘প্রজ্ঞান’ চাঁদে ঘুরবে ১৪ দিন ৷ জানা যাবে চাঁদের জন্মকথা ৷