ক্রমেই এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'মন্থা'! ১১০ কিলোমিটার বেগে হতে পারে 'ল্যান্ডফল'! প্রস্তুত সেনা থেকে NDRF! এই রাজ্যের স্কুল কলেজ বন্ধ সোমবার পর্যন্ত!

Last Updated:
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, সতর্কতা জারি করল ভারতীয় মৌসম ভবন তথা আইএমডি।
1/8
ঘণ্টাখানেকও সময় নেই আর...কলকাতা-সহ ৩ জেলায় এখনই শুরু হবে প্রবল বৃষ্টি! বইবে ঝোড়ো হাওয়া, জারি হলুদ সর্তকতা, ‘মন্থার’ দাপট কী শুরু হয়ে গেল?
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, সতর্কতা জারি করল ভারতীয় মৌসম ভবন তথা আইএমডি।
advertisement
2/8
পুরুলিয়া: উৎসবের মরসুম কাটতে না কাটতে আবার বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরমে ভুগছে বঙ্গবাসী। সকাল থেকেই ঝলমল করে রোদ উঠতে দেখা যাচ্ছে। জেলা পুরুলিয়াতে সকাল থেকে গরমের দাপট থাকলেও রোদ পড়তেই রাতের দিকে হালকা ঠান্ডার আমেজ রয়েছে। এইদিন পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (IMD) শনিবার (২৫ অক্টোবর, ২০২৫) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থানরত নিম্নচাপ পশ্চিমদিকে সরে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর।
advertisement
3/8
IMD-র তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ বর্তমানে গুজরাতের নালিয়ার ২৭০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, পোরবন্দরের ৩০০ কিমি পশ্চিমে এবং পাকিস্তানের করাচির ৩৬০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিমি বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে, হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১০০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৫ অক্টোবরের মধ্যে, এই ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরের মধ্যভাগ অতিক্রম করে পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর (রবিবার) নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ২৭ অক্টোবর (সোমবার) সকালে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের দিকে এই ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
advertisement
4/8
 সে সময় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সে সময় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
advertisement
5/8
সংবাদ সংস্থা 'সিনহুয়া' অনুসারে, ঝড়টি উটিপ ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড়টি গুয়াংডং এবং গুয়াংজির সীমান্তবর্তী এলাকা ঘিরে ফেলবে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা দুর্বল হয়ে পড়বে। দক্ষিণ চিনের হাইনান প্রদেশে এটি বছরের প্রথম ঝড়, যার কারণে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় সঙ্কট ব্যবস্থাপনা কমিটির (NCMC) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সচিব টি. ভি. সোমনাথন ।
advertisement
6/8
এই ঝড় ভারতে তীব্র আঘাত হানবে না বলেই বিশ্বাস আবহাওয়াবিদদের। গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রেই এর মূল প্রভাব দেখা যেতে পারে। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের দূরে থাকার সতর্কতা থাকার নির্দেশ। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত গুজরাত-উত্তর মহারাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের উপকূল এবং তার আশপাশে তীব্র ঢেউ উঠতে পারে। ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
বৈঠকে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরি এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিবরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের পথ ও প্রভাব বিবেচনায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে নেওয়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং জনসুরক্ষার প্রস্তুতির বিস্তারিত তথ্য কমিটিকে অবহিত করেন।
advertisement
7/8
ঘূর্ণিঝড়ের নাকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP)-এর সমন্বিত ব্যবস্থার অধীনে এই নাম নির্ধারিত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর উপকূলবর্তী এলাকা ও মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।একইসঙ্গে ভারতীয় সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।
advertisement
8/8
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি যত স্থালভাগের দিকে এগোবে হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে। উত্তাল হবে সমুদ্র। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার। সর্বাধিক হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার।
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, "ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মধ্য আরব সাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।"
advertisement
advertisement
advertisement