চিন আর পাকিস্তানের জন্য সাক্ষাৎ দুঃস্বপ্ন ! ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের তুলনায় ১৩ গুণ শক্তি বেশি, একই সময়ে একা হাতে নিধন করবে শত্রুপক্ষের একাধিক নিশানা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Agni-5 Missile: অগ্নি সিরিজের অধীনে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা লং রেঞ্জ ICBM তৈরি করেছে ভারত। এর মধ্যে Agni-V হল লং রেঞ্জ মিসাইলের মধ্যে অন্যতম। DRDO-র তৈরি এই মিসাইল পারমাণবিক অস্ত্রের পাশাপাশি প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে সক্ষম ৷
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার পর যেন সাহস বেড়ে উঠেছিল পাকিস্তানের। ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করে পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় নিরীহ পর্যটকদের উপর বর্বরোচিত হামলায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বই। সদ্য বিয়ের পর অনেকেই মধুচন্দ্রিমা করতে পাড়ি দিয়েছিলেন ভূস্বর্গে। কিন্তু নববধূদের হাতের মেহেন্দির রঙ ফিকে হতে না হতেই যেন তাঁদের জীবনের সমস্ত রঙ এক লহমায় শুষে নিয়েছে জঙ্গিরা। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানান, যে জঙ্গিরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে এবং তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছে, তাদের সকলকে উপড়ে নির্মূল করা হবে। (Photo: PTI)
advertisement
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই জঙ্গি হানার জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে। মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরে মৌলবাদী সেনাপ্রধান আসিমের নির্দেশে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনা ঘাঁটিকে নিশানা করার চেষ্টা করে। পাল্টা জবাব দিয়ে পাক সেনার হামলা সম্পূর্ণ রূপে বানচাল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে এক বারে পাকিস্তানের ১১টি বিমান ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরে শান্তির জন্য অনুরোধ জানায় পাকিস্তান। ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের সাহায্যে দুর্ধর্ষ হামলা করেছে ভারত। যা কখনওই ভুলতে পারবেন না পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। তবে এহেন পরিস্থিতিতে এখনও নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করেনি ভারত। (Representational image from AFP)
advertisement
Agni-V-এর রেঞ্জ: অগ্নি সিরিজের অধীনে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা লং রেঞ্জ আইসিবিএম তৈরি করেছে ভারত। এর মধ্যে Agni-V হল লং রেঞ্জ মিসাইলের মধ্যে অন্যতম। ডিআরডিও-র তৈরি এই মিসাইল পারমাণবিক অস্ত্রের পাশাপাশি প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। Agni-V-এর এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রচণ্ড ভাবে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী হতে পারে। একই সঙ্গে একাধিক টার্গেট ধ্বংস করে দিতে পারে Agni-V- এর মধ্যে এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যাকে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মিসাইল বাস বলে অভিহিত করেন। যেভাবে একসঙ্গে বহু যাত্রী বাসে চেপে যাতায়াত করতে পারেন, ঠিক সেভাবেই Agni-V মিসাইল একই সঙ্গে একাধিক অস্ত্র বহন করে শত্রুদের আক্রমণ করতে পারে। Agni-V তৈরির সঙ্গে সঙ্গে মিসাইল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু দেশের তালিকায় যোগ দিয়েছে ভারতও। (Photo: PTI)
advertisement
Agni-V-এর আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ এতটাই বেশি যে, পাকিস্তান চাইলেও সেখানে ডানা মেলে ধরতে পারবে না। এই রেঞ্জের সাহায্যে চিনের বেশিরভাগ অংশই কভার করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, Agni-V-এর রেঞ্জ ৫০০০ থেকে ৫৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এর রেঞ্জ ৭০০০ কিলোমিটারেরও বেশি। অগ্নি সিরিজের অধীনে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের এখন সর্বোচ্চ রেঞ্জ ৪৫০ কিলোমিটার। প্রথম দিকে এর রেঞ্জ ছিল ২৯০ কিলোমিটার। এর রেঞ্জ ৮০০ কিলোমিটারে বাড়ানোর পরিকল্পনার উপরে কাজ করে চলেছে ডিআরডিও। এদিকে ব্রহ্মোস মিসাইল নিয়েই আতঙ্কে ছিল পাকিস্তান, কিন্তু যদি Agni-V-এর মাধ্যমে আক্রমণ করা হত, তাহলে তাদের কী হতে পারত। এক নিমেষেই গুঁড়িয়ে যেত পাকিস্তান। (Photo: PTI)
advertisement
Agni-V-এ রয়েছে MIRV প্রযুক্তি: গত ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একটি বড়সড় ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন যে, Agni-V ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে MIRV অর্থাৎ মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল প্রযুক্তির মাধ্যমে সফল ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত সেই তালিকায় যোগ দিল, যে তালিকায় কয়েকটা মাত্র দেশই রয়েছে। মিশন দিব্যাস্ত্র-র অধীনে এটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, MIRV প্রযুক্তি কী। এর মাধ্যমে আসলে Agni-V ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এটা কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ ?
advertisement
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, MIRV হল একটি মিসাইল বাস। আর এই বাসের যাত্রী হতে পারে পরমাণু বোমা। যা তাদের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বুস্টার প্রদান করে। ১৯৭০ সালে Minuteman III কাজে লাগাতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা ছিল প্রথম MIRV-ed ICBM মিসাইল। আর প্রত্যেকটি মিসাইলে ছিল তিনটি করে অস্ত্র। ১৯৭১ সালে কাজে লাগানো হয়েছিল Poseidon-কে। এটি ছিল প্রথম MIRV-ed submarine-launched ballistic missile (SLBM)। এক-একটি মিসাইলে ১০টি করে অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রাখে এটি। তাহলে নিশ্চয়ই এটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে যে, Agni-V ব্যালিস্টিক মিসাইলের সাহায্যে যদি ভারত শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাত, তাহলে কী ঘটতে পারত! (Photo: PTI)