

ফের দেশে করোনার দাপাদাপি বাড়ছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তার অন্যতম প্রধান কারণ, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। কয়েকদিন ধরেই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েই চলেছে। নতুন করে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০,৪১৪ জন। এই বৃদ্ধির জেরে মত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৭৫। একই সঙ্গে রবিবার পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪,১৮১।


রবিবার মুম্বইতে নতুন করে করনা আক্রান্ত হন ৬,৯৩৩ জন, এর ফলে মুম্বই এর মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। এর মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর ফলে মুম্বইতে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৫৩। এর মধ্যেও রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ি ফিরেছেন ১৭,৮৭৪ জন। মোট ২৩,৩২,৪৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারি হয়েছে। তবে তার পরেও ফের আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে মহারাষ্ট্র। দেশের আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার দেশের গড় ৫.০৪ শতাংশের চেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের হার ২২.৭৮ শতাংশ। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে।


মহারাষ্ট্র ছাড়াও অন্য সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে জাতীয় গড়ের চেয়ে সংক্রমণের হার বেশি। এর মধ্যে চন্ডীগড় (১১.৮৫ শতাংশ), পঞ্জাব (৮.৪৫ শতাংশ), গোয়া (৭.০৩ শতাংশ), পুডুচেরি (৬.৮৫ শতাংশ), ছত্তিশগড় (৬.৭৯ শতাংশ), মধ্য প্রদেশ (৬.৬৫ শতাংশ) এবং হরিয়ানা (৫.৪১ শতাংশ)।


বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে সেখানে আগামী সপ্তাহ থেকে হয়ত লকডাউন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে অর্থনীতিতে ফের ধ্বস নামার ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক মহল। গত তিন দিনে মহারাষ্ট্রে ১ লক্ষ ১৩ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় জমায়েত এড়াতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলির পাশাপাশি জেলাগুলিতেও লকডাউন, রাতে কার্ফু জারি করা হচ্ছে৷ নাইট কার্ফু জারি রাখা হচ্ছে রাত ১১ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত।