স্থান-কাল-পাত্র-পাত্রী আকাশপাতাল পাল্টে গেলেও চুম্বনের ক্ষেত্রে একটা সাদৃশ্য রয়েই যাবে ৷ পৃথিবীর যেখানে যে কোনও সময়েই চুমু খাওয়া হোক না কেন, জুটির দু’জনেরই চোখ বন্ধ হয়ে আসবে পরম তৃপ্তি ও আনন্দে ৷
2/ 8
এই মানব আচরণের পিছনে একাধিক কারণ আছে বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা ৷ প্রথমেই তাঁরা বলেন এই আচরণ জড়িয়ে আছে তৃপ্তির সঙ্গেই ৷ ভাল খেলে, ভাল গান শুনলে আমরা যেমন আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলি, চুমুর সময়েও ঠিক তাই৷
3/ 8
সেইসঙ্গে থাকে মনসংযোগের বিষয়ও৷ আমরা পারিপার্শ্বিক ভুলে চিন্তনের ভরকেন্দ্রে রাখতে চাই সঙ্গী ও চুম্বনকেই ৷ তাই চোখ বন্ধ রেখে মনকে সরিয়ে নিই চারপাশ থেকে ৷
4/ 8
প্রেমের অঙ্গ চুম্বন ৷ ভালবাসা বা প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কিছুটা লজ্জা ও কুণ্ঠাও ৷ তাই সেই লজ্জাবোধ থেকেও আমাদের চোখ বুজে আসে ৷
5/ 8
প্রেমের সঙ্গে জুড়ে থাকে গোপনীয়তাও৷ আমাদের ধারণা, আমরা কাউকে দেখতে পাচ্ছি না মানে আমাদেরও কেউ দেখতে পাচ্ছে না৷ সেই বোধ থেকেও চুমু খাওয়ার সময় দু’চোখ বন্ধ করে রাখি৷
6/ 8
প্রেমের আত্মসমর্পণের অঙ্গ হল চুম্বন ৷ বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেই সেই আত্মসমর্পণের বোধ আসে ৷ যাঁকে অগাধ বিশ্বাস, তার উপর হয়তো চোখ বন্ধ রেখেও ভরসা করা যায়৷
7/ 8
চোখ খোলা রাখলেও নিজেদের চুম্বন মুহূর্ত নিজেদের কাছে দেখার জন্য বিশেষ উপভোগ্য নয় ৷ সেই বার্তাও হয়তো মানুষের মস্তিষ্কের মজ্জাগত ৷ ফলে চুমুর সময় আপনা থেকেই চোখের পাতা নেমে আসে নীচে ৷
8/ 8
বিশেষ অনুভূতির মুহূর্ত সবথেকে ভাল উপভোগ করা যায় চোখ বন্ধ রেখেই ৷ তাই চুম্বন সবথেকে বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে নিমীলিত নয়নেই৷