দেশি ঘি খাবারে শুধু বাড়তি স্বাদের ছোঁয়াই যোগায় না, এই ঘি কিন্তু পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ডাল, রুটি বা পরোটা খাবার যাই হোক না কেন, দেশি ঘি প্রতিটি খাবারের স্বাদে এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। যদিও অনেকে দেশি ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলেন এই ভেবে যে ঘি খেলে তাঁদের ওজন বেড়ে যাবে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি ঘি কিন্তু উপকারিতায় ঠাসা এক পাওয়ার হাউজের মতো। দেশি ঘিয়ে আছে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন A, E এবং K। দেশি ঘি ত্বক ও চুল ভালো রাখে। তাছাড়া ঘি খাবার হজম করতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাদা ঘি মোষের দুধ থেকে এবং হলুদ ঘি গরুর দুধ থেকে তৈরি হয়।
সাদা ঘি
যদিও হলুদ ঘির তুলনায় সাদা ঘিতে কম চর্বি থাকে, তবে এই ঘিয়ে বেশি চর্বিযুক্ত উপাদান থাকার কারণে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এটি হাড় ভালো রাখতে, ওজন বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার পেশির কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে। মোষের ঘি ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে।
গরুর দুধের হলুদ ঘি
গরুর দুধের হলুদ ঘি ওজন কমানোর জন্য ভালো। এটি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে এবং এই ঘি সহজে হজম হয়। গরুর দুধে একটু প্রোটিন আছে, যা মোষের দুধে অনুপস্থিত। এই প্রোটিন শুধুমাত্র গরুর ঘিতে পাওয়া যায়। গরুর ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন। গরুর ঘি হৃৎপিণ্ডকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে।
হলুদ না সাদা কোনটা বেছে নেওয়া উচিত?
বিভ্রান্তি না বাড়িয়ে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলে রাখা দরকার যে সাদা এবং হলুদ, উভয় প্রকার ঘি-ই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এতে একই পরিমাণ চর্বি রয়েছে। গরুর ঘি সবাই বেশি পছন্দ করে। গরুর ঘিতে ক্যারোটিন, ভিটামিন A আছে, যা চোখ ও মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এটি হজমের জন্য ভালো এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ।