সম্পর্কে ভয়াবহতার আকার নিচ্ছে! আইনি বিচ্ছেদের থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে 'ইমোশনাল ডিভোর্স'! কীভাবে চিনবেন লক্ষণগুলি?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
অনেক সময়েই দেখা যায় দিনের শেষে রাতের খাওয়ার সময় ডিনার টেবিলে পাশাপাশি বসে আছেন স্বামী-স্ত্রী। টেবিলে রয়েছে খাবার, কিন্তু দু’জনের চোখই সামনের মোবাইল স্ক্রিনে। দিনের শেষে একে অপরের সঙ্গে দু’টো কথা বলারও যেন ইচ্ছে নেই। বাইরে থেকে দেখলে এঁরা এক ‘সুখী’ দম্পতি। একই ছাদের নীচ থাকা থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান সবই নিয়ম মেনে চলে।
অনেক সময়েই দেখা যায় দিনের শেষে রাতের খাওয়ার সময় ডিনার টেবিলে পাশাপাশি বসে আছেন স্বামী-স্ত্রী। টেবিলে রয়েছে খাবার, কিন্তু দু’জনের চোখই সামনের মোবাইল স্ক্রিনে। দিনের শেষে একে অপরের সঙ্গে দু’টো কথা বলারও যেন ইচ্ছে নেই। বাইরে থেকে দেখলে এঁরা এক ‘সুখী’ দম্পতি। একই ছাদের নীচ থাকা থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান সবই নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু এই আপাত স্বাভাবিকতার আড়ালেই লুকিয়ে থাকে এক গভীর শূন্যতা। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা একেই বলছেন ‘ইমোশনাল ডিভোর্স’ বা মানসিক বিচ্ছেদ।
advertisement
‘ইমোশনাল ডিভোর্স’ কোনও বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয়, এটি একটি মানসিক অবস্থা। যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার আবেগ, অনুভূতি, স্নেহ, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে যায়, কিন্তু সামাজিক বা পারিবারিক কারণে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে বাধ্য হন, সেই অবস্থাকেই মানসিক বিচ্ছেদ বলা হয়। এক্ষেত্রে শরীরী উপস্থিতি থাকলেও মনের যোগসূত্রটুকুও আর অবশিষ্ট থাকে না।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কেন বাড়ছে এই প্রবণতা?সমাজতত্ত্ববিদ এবং মনোবিদদের মতে, এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বহুদিনের জমে থাকা চাপা ক্ষোভ, বিশ্বাসভঙ্গ, একে অপরকে অতিসাধারণ বলে ধরে নেওয়া এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সামাজিক চাপ- এই সবকিছুই মানসিক বিচ্ছেদের পথ প্রশস্ত করে। শারীরিক নির্যাতনের মতো এর কোনও দৃশ্যমান ক্ষত থাকে না বলে এই সমস্যাকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই নীরবতা একটি মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে শেষ করে দেয়।
advertisement