Weekend Trip: রথে জমজমাট শ্রীরামপুর! মাহেশের রথ দেখার আগে ঘুরে নিন ঐতিহাসিক এই '৪' জায়গা, আজীবন মনে থেকে যাবে
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Rahi Haldar
Last Updated:
Weekend Trip: মাহেশের রথের মেলা দেখতে আসছেন, হাতে সময় থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন শ্রীরামপুরের আশপাশের কিছু ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা। যা শুধুমাত্র রথের মেলা নয় একইসঙ্গে শ্রীরামপুরের ভ্রমণকেও আরও মনমুগ্ধকর করে তুলবে।
*মাহেশের রথের মেলা দেখতে আসছেন, হাতে সময় থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন শ্রীরামপুরের আশপাশের কিছু ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা। যা শুধুমাত্র রথের মেলা নয় একইসঙ্গে শ্রীরামপুরের ভ্রমণকেও আরও মনমুগ্ধকর করে তুলবে। সেই ভ্রমণের রইল একটি ছোট্ট রুট ম্যাপ, যা মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময়েই গোটা শ্রীরামপুর আপনি ঘুরে ফেলতে পারবেন।
advertisement
*শ্রীরামপুর মাহেশে এলে সেখান থেকে মিনিট দশেক জিটি রোড ধরে গেলেই পড়বে মানিকতলা বাজার। সেখানেই রয়েছে প্রথম ডেস্টিনেশন রাধাবল্লভ জিউ মন্দির। এটি একটি ঐতিহাসিক মন্দির। এটি মূলত ১৭৬৪ সালে কলকাতার নয়নচাঁদ মল্লিক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে এর ইতিহাস আরও প্রাচীন, যা ১৬শ শতাব্দীর সাথে সম্পর্কিত। এই মন্দিরটি রাধাবল্লভ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং হিত হরিবংশ মহাপ্রভুর নির্দেশনায় নির্মিত হয়েছিল।
advertisement
*রাধা বল্লভ জিউ মন্দির দেখে বেরিয়ে সেই রাস্তা ধরে জল ট্যাংকের দিকে মিনিট পনেরো হাঁটা পথ টোটো ধরলে পাঁচ মিনিট পৌঁছে যাবেন জলকল মাঠের কাছে। সেই জলকল মাঠের ভেতর দিয়ে গঙ্গার পাড়ে আসলে দেখতে পাবেন ভারতীয় এবং ডেনিস সম্প্রদায়ের এক অনন্য মেলবন্ধন হেনরি মার্টিন প্যাগোডা। শ্রীরামপুরে অবস্থিত হেনরি মার্টিনের প্যাগোডা হল মিশনারি হেনরি মার্টিনের সাথে সম্পর্কিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি মূলত একটি হিন্দু মন্দির ছিল, যা পরবর্তীতে মার্টিন দ্বারা একটি খ্রিস্টান চ্যাপেলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল, যিনি ভারতে থাকাকালীন সেখানে বসবাস করেন। মার্টিনের মিশনারি কাজ এবং এই অঞ্চলে খ্রিস্টান উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রচেষ্টার প্রমাণ হিসেবে এই ভবনটি তাৎপর্যপূর্ণ।
advertisement
*প্যাগোডা দেখে গঙ্গার ধার বরাবর হাঁটতে হাঁটতে শ্রীরামপুর কলেজ পেরোই চোখে পড়বে একটি মিশনারি, যার নাম ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি। এই মিশনারি থেকেই ভারতের প্রথম দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র ছাপা হতো। বর্তমানে সংবাদপত্র সম্পর্কিত সেরকম বিশেষ কিছু অবশিষ্ট না থাকলেও মিশনারিটি এখনো বর্তমান রয়েছে। চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন মিশনারি থেকে।
advertisement
*ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে আসবেন শ্রীরামপুর কোর্টের সামনে, এখানে পাবেন একসঙ্গে দেখার অনেক কিছু। সবার প্রথমেই চোখে পড়বে ফ্রেন্ড ওলাব চার্জ। চার্চ দেখে বেরিয়ে শ্রীরামপুর কোর্টের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে তাহলে পাওয়া যাবে ডেনিস গভর্নর হাউস, যা বর্তমানে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের অফিস। সেখানে মিউজিয়ামে গোটা শহরের ইতিহাস দেখতে পাবেন। এভাবে শ্রীরামপুর ঘুরে চলে আসবেন শ্রীরামপুর মাহেশের রথের মেলা দেখতে। একসঙ্গে রথ দেখা কলা বেচা দুইই হবে।