Weekend Trip: পুজোয় রাজা-রানির মতো কাটান একদিন, তাও একেবারে কম খরচে! ঘুরে আসুন সোনারুন্দি রাজবাড়ি

Last Updated:
Weekend Trip: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম রাজ পরিবার সোনারুন্দি রাজবাড়ি। তবে বর্তমানে এই রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ মাছের দীঘি, যা কিশোরী সাগর নামেই পরিচিত। পুজোর ছুটিতে একদিন গিয়ে দেখে আসুন পেল্লায় সাইজের বড় বড় মাছ।
1/9
*মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম রাজ পরিবার সোনারুন্দি রাজবাড়ি। তবে বর্তমানে এই রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ মাছের দীঘি, যা কিশোরী সাগর নামেই পরিচিত। পুজোর ছুটিতে একদিন গিয়ে দেখে আসুন পেল্লায় সাইজের বড় বড় মাছ।
*মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম রাজ পরিবার সোনারুন্দি রাজবাড়ি। তবে বর্তমানে এই রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ মাছের দীঘি, যা কিশোরী সাগর নামেই পরিচিত। পুজোর ছুটিতে একদিন গিয়ে দেখে আসুন পেল্লায় সাইজের বড় বড় মাছ।
advertisement
2/9
*ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন একটা বড় দীঘি আছে। সেখানে বহুকাল থেকে রুই, মৃগেল, কাতলা মাছ পোষা হয়। কাউকে কখনও ধরতে দেওয়া হয় না। বাঁধানো ঘাটের পাড় থেকে খাবার ছুড়ে দিলে বড় বড় মাছেদের দেখা পাওয়া যায়।
*ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন একটা বড় দীঘি আছে। সেখানে বহুকাল থেকে রুই, মৃগেল, কাতলা মাছ পোষা হয়। কাউকে কখনও ধরতে দেওয়া হয় না। বাঁধানো ঘাটের পাড় থেকে খাবার ছুড়ে দিলে বড় বড় মাছেদের দেখা পাওয়া যায়।
advertisement
3/9
*জন্মাষ্টমী ও রাধাষ্টমী প্রভৃতি বৈষ্ণবপর্বের সময় মাছের পোনা জলে ছাড়া হয়। কখনও কোন মাছ মরে গেলে সেটাকে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। রাজবাড়ির পুকুরে মাছ দেখার জন্য অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এখনও আসেন। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে পর্যটকরা আসে শুধু মাছ দেখতে।
*জন্মাষ্টমী ও রাধাষ্টমী প্রভৃতি বৈষ্ণবপর্বের সময় মাছের পোনা জলে ছাড়া হয়। কখনও কোন মাছ মরে গেলে সেটাকে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। রাজবাড়ির পুকুরে মাছ দেখার জন্য অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এখনও আসেন। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে পর্যটকরা আসে শুধু মাছ দেখতে।
advertisement
4/9
*কথিত আছে, এই এলাকাটিকে বনওয়ারীবাদ ও বলা হয়ে থাকে। তাঁর কারন এখানকার রাজাদের গৃহবিগ্রহ বনওয়ারীদেবের নাম থেকে। বনওয়ারীবাদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম ছিল নিত্যানন্দ দালাল। তাঁরা জাতিতে ছিলেন তাঁতি। এই এলাকায় এখনও তন্তুবায় বা তাঁতীদের বাস বেশি।
*কথিত আছে, এই এলাকাটিকে বনওয়ারীবাদ ও বলা হয়ে থাকে। তাঁর কারন এখানকার রাজাদের গৃহবিগ্রহ বনওয়ারীদেবের নাম থেকে। বনওয়ারীবাদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম ছিল নিত্যানন্দ দালাল। তাঁরা জাতিতে ছিলেন তাঁতি। এই এলাকায় এখনও তন্তুবায় বা তাঁতীদের বাস বেশি।
advertisement
5/9
*নিত্যানন্দের বাবা জগমোহন দালাল সোনারুন্দি গ্রামে বাস করতেন। ১৭৫০ খৃষ্টাব্দে সোনারুন্দিতে নিত্যানন্দের জন্ম। তিনি আরবী, পারসী ও উদ্দু ভাষায় খুব পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। অল্প বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি দিল্লির বাদশাহের দরবারে চাকরি জোগাড় করেন। অসাধারণ মেধা ও ফারসি ভাষায় দক্ষতার জন্যে সেই সময়ের মুঘল বাদশা দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টতা হয়।
*নিত্যানন্দের বাবা জগমোহন দালাল সোনারুন্দি গ্রামে বাস করতেন। ১৭৫০ খৃষ্টাব্দে সোনারুন্দিতে নিত্যানন্দের জন্ম। তিনি আরবী, পারসী ও উদ্দু ভাষায় খুব পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। অল্প বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি দিল্লির বাদশাহের দরবারে চাকরি জোগাড় করেন। অসাধারণ মেধা ও ফারসি ভাষায় দক্ষতার জন্যে সেই সময়ের মুঘল বাদশা দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টতা হয়।
advertisement
6/9
*কালক্রমে বাদশাহ শাহ আলম নিত্যানন্দের পারসী লেখাপড়ায় খুশি হয়ে তাঁকে নিজের কাছে রাখেন এবং রাজধানী দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে নিত্যানন্দকে নিজের মীরমুন্সী পদে নিযুক্ত করেন। সম্রাট তাঁকে দানেশবন্দ উপাধি দিয়েছিলেন।
*কালক্রমে বাদশাহ শাহ আলম নিত্যানন্দের পারসী লেখাপড়ায় খুশি হয়ে তাঁকে নিজের কাছে রাখেন এবং রাজধানী দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে নিত্যানন্দকে নিজের মীরমুন্সী পদে নিযুক্ত করেন। সম্রাট তাঁকে দানেশবন্দ উপাধি দিয়েছিলেন।
advertisement
7/9
*বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে এই সোনারুন্দি রাজবাড়ি। তবে এই সোনারুন্দি রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ এই মাছ। সোনারুন্দি বনওয়ারীবাদের রাজবাড়ীর পুকুরে মাছ দেখতে এখনও অনেক পর্যটকরা আসে।
*বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে এই সোনারুন্দি রাজবাড়ি। তবে এই সোনারুন্দি রাজবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ এই মাছ। সোনারুন্দি বনওয়ারীবাদের রাজবাড়ীর পুকুরে মাছ দেখতে এখনও অনেক পর্যটকরা আসে।
advertisement
8/9
*এক সময় নাকি এখানে সোনার নথ পড়া মাছের দেখা মিলত। তবে এখানে মাছ নাকি কেউ ছাড়েনি, কেউ ধরেও না। লোকমুখে নানা গল্প শোনা যায়— কোনও এক সময় কেউ এক জন মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার পর মুখে রক্ত উঠে মারা যায় সে। তবে পর্যটকদের দেওয়া বিস্কুট ও মুড়ি খেয়ে তারা রীতিমতো নধর হয়েছে।
*এক সময় নাকি এখানে সোনার নথ পড়া মাছের দেখা মিলত। তবে এখানে মাছ নাকি কেউ ছাড়েনি, কেউ ধরেও না। লোকমুখে নানা গল্প শোনা যায়— কোনও এক সময় কেউ এক জন মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার পর মুখে রক্ত উঠে মারা যায় সে। তবে পর্যটকদের দেওয়া বিস্কুট ও মুড়ি খেয়ে তারা রীতিমতো নধর হয়েছে।
advertisement
9/9
*তবে আপনি ভয় না পেলে, তারা দিব্য আপনার হাত থেকে বিস্কুট খেয়ে যাবে। ফলে একদিন ছুটি কাটিয়ে আসতেই পারেন সোনারুন্দি রাজবাড়ি এবং দেখতে পারেন মাছ।
*তবে আপনি ভয় না পেলে, তারা দিব্য আপনার হাত থেকে বিস্কুট খেয়ে যাবে। ফলে একদিন ছুটি কাটিয়ে আসতেই পারেন সোনারুন্দি রাজবাড়ি এবং দেখতে পারেন মাছ।
advertisement
advertisement
advertisement