শীতের ভোরে 'মর্নিং ওয়াক' করে এই বিপদ ডেকে আনছেন! হাঁটার 'পারফেক্ট' সময় কোনটা? জানুন
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Morning Walk Best Time: হাঁটলে শরীর ভাল থাকে এ কথা কে না জানেন! কিন্তু যেমন তেমন করে হাঁটলেই হবে না। ঠিক সময়ে ঠিক ভাবে হাঁটলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে, ওজন কমে। জেনে নিন হাঁটার পারফেক্ট সময়।
মর্নিং ওয়াকের উপকারিতা সম্পর্কে সকলেই সচেতন। শীতকালেও ভোরে উঠে হাঁটেন অনেকেই। সেই অভ্যাস ঠিক না ভুল? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেল, শীতের সকালে হাঁটলেই যে শরীর ফিট থাকবে এমন কথা নেই। বরং তা বিপজ্জনক হতে পারে স্বাস্থ্যের পক্ষে। কখন হাঁটলে তা আপনার মেদ ঝরার পক্ষে উপযোগী? বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও? জেনে নিন হাঁটার পারফেক্ট সময়।
advertisement
শীতের ভোরে রাস্তাঘাট কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। গাড়ির ধোঁয়া তার সঙ্গে মিলে পুরু ধোঁয়াশা তৈরি হয় অনেক সময়। এই বাতাসে শ্বাস নেওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়, এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বয়স্ক এবং শিশুরা এতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
advertisement
শীতের সময় ধোঁয়াশা থেকে সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও, শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি হয়। একাধিক গবেষণা বলছে, মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে শীতের দূষণ। তাই একেবারে ভোরে না হাঁটাই ভাল। এ সময় একান্ত হাঁটতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভাল।
advertisement
একটু বেলা বাড়লে বাতাসে কুয়াশা ও ধোঁয়াশার পরিমাণ কমে। তাই বলে ৯টা - ১০টা নাগাদ রাস্তাঘাট হাঁটার উপযুক্ত থাকে না। এই সময় হাঁটলেও সমস্যা হতে পারে।
advertisement
সকালের হাঁটার সবচেয়ে ভালো সময় হল সকাল ৬:৩০ থেকে সকাল ৮টা , যখন সূর্য উঠেছে কিন্তু তাপ বাড়েনি। দিনের এই সময়টি ভিটামিন ডি সংশ্লেষণের জন্য আদর্শ। তাজা বাতাস এবং শীতল তাপমাত্রা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এদেয় হাঁটার। সেই সঙ্গে গায়ে লাগবে সূর্যের আলো।
advertisement
সকালে হাঁটলে সারা দিনের অফুরন্ত এনার্জি স্টোর করা যায়। মন-মেজাজ ভাল থাকে। কর্ম ক্ষমতা বাড়ে। মানসিক চাপ দূরে থাকে। পেশিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, চিন্তাভাবনা উন্নত হয়। সৃজনশীলতা বাড়ে। সারাদিন ঠিক ভাবে কাটলে রাতেও ভাল ঘুম হয়।
advertisement
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিকেলে হাঁটাও শরীরের পক্ষে নিরাপদ। বিকেলের দিকে হাঁটা চলা হজমের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। তাই বিকেলকেও বেছে নিতে পারেন সেরা সময় হিসেবে।
advertisement
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবেদন অনুসারে: প্রতিদিন ন্যূনতম 10,000 বার পা ফেলার টার্গেট রাখুন। হাঁটা থেকে শারীরিক উপকারিতা পেটে হলে প্রতি ঘণ্টায় ৩ মাইল মোটামুটি দ্রুত গতিতে হাঁটুন।
advertisement
প্রতিবেদন অনুসারে, 2000টি ধাপ এক মাইলের সমান, যা গাণিতিকভাবে অনুবাদ করে এক কিলোমিটারে 1300 থেকে 1500 ধাপ। কী ভাবে ঠিক করবেন হাঁটার লক্ষ্য? দেখুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র মতো স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার কারডিও এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দেয়, যার মধ্যে দ্রুত হাঁটা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। প্রতি কিলোমিটার পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে লক্ষ্য নির্ধারণ করা এই সুপারিশগুলি পূরণের দিকে অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সহায়তা করতে পারে।