Traditional Durga Puja:ঐতিহ্যের গন্ধমাখা বর্ধমানের দাস বাড়ির দুর্গাপুজো,মহাঅষ্টমীর সন্ধিপুজোয় ওড়ে শঙ্খচিল 

Last Updated:
বর্ধমান শহরের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার দাস বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মাখনলাল দাস। কিন্তু মাখনলাল দাসের সময়ে ঘটে পুজো হত।পরবর্তী কালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি পুজো শুরু করেন।
1/5
দাস বাড়ির দুর্গাপুজোয়, মহাঅষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ও বিসর্জনের সময় ওড়ে শঙ্খচিল। একসময় জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে আসতেন খোদ বর্ধমানের মহারাজা আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো এই জমিদার বাড়ির পুজো।(চিত্র ও তথ্য সূত্র:সায়নী সরকার)
দাস বাড়ির দুর্গাপুজোয়, মহাঅষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ও বিসর্জনের সময় ওড়ে শঙ্খচিল। একসময় জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে আসতেন খোদ বর্ধমানের মহারাজা আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো এই জমিদার বাড়ির পুজো।(চিত্র ও তথ্য সূত্র:সায়নী সরকার)
advertisement
2/5
বর্ধমান শহরের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার দাস বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মাখনলাল দাস। কিন্তু মাখনলাল দাসের সময়ে ঘটে পুজো হত।পরবর্তী কালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি পুজো শুরু করেন।
বর্ধমান শহরের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার দাস বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মাখনলাল দাস। কিন্তু মাখনলাল দাসের সময়ে ঘটে পুজো হত।পরবর্তী কালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি পুজো শুরু করেন।
advertisement
3/5
জানা যায়, স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তৈরি হয় মূর্তি। একচালার কাঠামোয় বসে থাকা দেবীর ডান পাশে বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। শিব-পার্বতীর দুপাশে লক্ষ্মী আর সরস্বতী। তাঁদের নীচে বসে কার্তিক আর গণেশ। দেবী এখানে মহিষাসুরমর্দিনী নয়, দাস পরিবারে হয় হরগৌরীর আরাধনা। জমিদার ব্রজেন্দ্রলাল দাসের কোনও পুত্র সন্তান ছিল না। কথিত আছে দেবীর সেই স্বপ্নাদেশের পর মহাসমারোহে হরগৌরী মূর্তি তৈরি করে পুজোর পরই ব্রজেন্দ্রলাল দাস পুত্রলাভ করেন।
জানা যায়, স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তৈরি হয় মূর্তি। একচালার কাঠামোয় বসে থাকা দেবীর ডান পাশে বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। শিব-পার্বতীর দুপাশে লক্ষ্মী আর সরস্বতী। তাঁদের নীচে বসে কার্তিক আর গণেশ। দেবী এখানে মহিষাসুরমর্দিনী নয়, দাস পরিবারে হয় হরগৌরীর আরাধনা। জমিদার ব্রজেন্দ্রলাল দাসের কোনও পুত্র সন্তান ছিল না। কথিত আছে দেবীর সেই স্বপ্নাদেশের পর মহাসমারোহে হরগৌরী মূর্তি তৈরি করে পুজোর পরই ব্রজেন্দ্রলাল দাস পুত্রলাভ করেন।
advertisement
4/5
ব্রজেন্দ্রলাল দাসের আমল থেকেই দাসবাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে পঞ্চমী থেকে। পঞ্চমীতে বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু পুজো। আগে পুজো উপলক্ষ্যে বসত যাত্রাপালা, গানের আসর। দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া দোতলার ঘর থেকে অন্দরমহলের মহিলারা তা উপভোগ করতেন। দাসবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব বলতে কাঁঠালি কলা, নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি আর গাওয়া ঘি-এর লুচি। প্রত্যেকদিনই দেবীর কাছে এই ভোগ নিবেদন করা হয়। আগে সন্ধিপুজোর সময় ছাগ বলি হলেও,৮০ বছর আগে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাগের বদলে জমিদার বাড়িতে হয় মণ্ডা বলি।
ব্রজেন্দ্রলাল দাসের আমল থেকেই দাসবাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে পঞ্চমী থেকে। পঞ্চমীতে বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু পুজো। আগে পুজো উপলক্ষ্যে বসত যাত্রাপালা, গানের আসর। দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া দোতলার ঘর থেকে অন্দরমহলের মহিলারা তা উপভোগ করতেন। দাসবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব বলতে কাঁঠালি কলা, নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি আর গাওয়া ঘি-এর লুচি। প্রত্যেকদিনই দেবীর কাছে এই ভোগ নিবেদন করা হয়। আগে সন্ধিপুজোর সময় ছাগ বলি হলেও,৮০ বছর আগে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছাগের বদলে জমিদার বাড়িতে হয় মণ্ডা বলি।
advertisement
5/5
পরিবারের সদস্যদের দাবি, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে এখনও দুর্গামণ্ডপের উপর শঙ্খচিল উড়তে দেখা যায়। দশমীর দিন দেবীকে বিসর্জন করা হয় পাশের মল্লিকপুকুরে। তখনও আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল।(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
পরিবারের সদস্যদের দাবি, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে এখনও দুর্গামণ্ডপের উপর শঙ্খচিল উড়তে দেখা যায়। দশমীর দিন দেবীকে বিসর্জন করা হয় পাশের মল্লিকপুকুরে। তখনও আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল।(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement