Snakes Fact: লাগবে না কার্বলিক অ্যাসিড! সাপের ভয়ঙ্কর যম 'এই' কালো দানা...! গন্ধ পেলেই দূর থেকেই বাপ বাপ বলে লেজ গুটিয়ে পালাবে 'বিষধর'
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
Last Updated:
Snakes Fact: বর্ষাকাল প্রায় শেষ হওয়ার দিকে৷ বাংলা থেকে শীঘ্রই বর্ষা বিদায় হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি অনবরত হয়েই চলেছে৷ বৃষ্টি পড়লেই ঘরে বিভিন্ন পোকামাকড় এবং সাপ প্রবেশ করে। এর পাশাপাশি সাপও প্রবেশ করতে শুরু করে।
বর্ষাকাল প্রায় শেষ হওয়ার দিকে৷ বাংলা থেকে শীঘ্রই বর্ষা বিদায় হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি অনবরত হয়েই চলেছে৷ বৃষ্টি পড়লেই ঘরে বিভিন্ন পোকামাকড় এবং সাপ প্রবেশ করে। এর পাশাপাশি সাপও প্রবেশ করতে শুরু করে।
advertisement
কখনও কখনও ক্রেইট, ধামাইন এবং গমের সাপের মতো বিপজ্জনক সাপও ঘরে প্রবেশ করে। পাহাড়ি অঞ্চলে সাপের আতঙ্ক আরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়ি বাসিন্দারা একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেন যা খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতি সাপকে মাইলের পর মাইল দূরে রাখে।
advertisement
বিশেষত,পাহাড়ি অঞ্চলে সাপের কামড়ের ঝুঁকি বেড়ে যায় বর্ষাকালে। প্রায়শই দেখা যায় যে বর্ষাকালে সাপ শুষ্ক ও উষ্ণ স্থানের সন্ধানে ঘরে ঢুকে পড়ে।
advertisement
এর মধ্যে একটি হল কালো তিলের ধোঁয়া। কালো তিল পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া সাপ তাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। বাগেশ্বরের স্থানীয় মহিলা সন্তোষী দেবী লোকাল১৮-কে বলেন যে তিলের প্রাকৃতিক তেল এবং এর তীব্র গন্ধ সাপের ঘ্রাণশক্তিকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তারা সেখানে থাকতে পারে না এবং নিজে থেকে পালিয়ে যেতে পারে না।
advertisement
অনেক গ্রামে এখনও এই ঐতিহ্য টিকে আছে। মানুষ মাটির পাত্রে আগুন জ্বালায় এবং তাতে কালো তিল মেশান, বিশেষ করে উঠোনে, দরজায়, গোয়ালঘরে এবং বাড়ির চার কোণে। কেউ কেউ আরও শক্তিশালী ধোঁয়া তৈরি করতে গোবরের খোসা দিয়েও আগুন জ্বালায়। এই ধোঁয়া বিষাক্ত পোকামাকড় এবং অন্যান্য প্রাণীকেও তাড়ায়।
advertisement
এই প্রতিকারটি ঐতিহ্যবাহী, তবে এটি অত্যন্ত কার্যকর। সাপের ঘ্রাণশক্তি খুব তীব্র, এবং তিলের গন্ধ তাদের কাছে অপ্রীতিকর। এই কারণেই বর্ষাকালে সাপের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাহাড়ে বছরের পর বছর ধরে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করা হয়ে আসছে।
advertisement
রাতে সাপ বা অন্যান্য বিষাক্ত প্রাণী যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রতি সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে ধোঁয়া জ্বালানো হয়।
advertisement
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রতিকারটি অত্যন্ত সস্তা এবং এতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে, যখন বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যায় এমন সাপ বিতাড়ক ব্যয়বহুল এবং কখনও কখনও ক্ষতিকারক, তখন এই দেশীয় পদ্ধতিটি একটি নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক বিকল্প প্রদান করে।
advertisement