Kidney Damage Symptoms: খুবই সাধারণ লক্ষণ! শরীরে ৫ উপসর্গের একটিও রয়েছে? পচতে শুরু করেছে আপনার কিডনি! চিকিৎসকের কাছে যান আজই
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Kidney Damage Symptoms: কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীর থেকে বর্জ্য ফিল্টার করে বাইরে পাঠায় কিডনি। তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তারা বিপি নিয়ন্ত্রণ করে। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
*কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীর থেকে বর্জ্য ফিল্টার করে বাইরে পাঠায় কিডনি। তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তারা বিপি নিয়ন্ত্রণ করে। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতায় ত্রুটিগুলি শুরু হলে শরীর কিছু সংকেত দেয়। কিন্তু তাদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন। অনেকে এগুলোকে অন্য সমস্যা ভেবে ভুল করেন।
advertisement
advertisement
*ক্রমাগত ক্লান্তিঃ কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে টক্সিন জমে। এতে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা হতে পারে। কিডনি এরিথ্রোপয়েটিন নামে একটি হরমোন তৈরি করে। এটি লোহিত রক্তকণিকা গঠনে উদ্দীপিত করে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। রক্তাল্পতার কারণে হালকা কাজ করার সময়ও ক্লান্তি, দুর্বলতা, মনোযোগের অভাব, শ্বাস নিতে অসুবিধার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
advertisement
*পা এবং মুখের ফোলাভাবঃ কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং তরল বের করে দেয়। যখন আপনি এটি করতে পারবেন না, তখন শরীরে তরল জমা হয়। এটি বিশেষত পা, গোড়ালি, পা, হাত বা চোখের চারপাশে ফোলা (শোথ) হতে পারে। অনেকে মনে করেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই প্রদাহ হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফোলা শনাক্ত করা এবং মেডিক্যাল টেস্ট করা প্রয়োজন।
advertisement
*ত্বকে চুলকানি বা পরিবর্তনঃ কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ধ্রুবক প্রুরিটাস হবে। এটি রক্তে বর্জ্য পদার্থ, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজগুলির ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে। ত্বক শুষ্ক, খসখসে হলে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে, বিশেষ করে ত্বকের সমস্যা না থাকলেও চুলকানি হয়। রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করলে রক্ত থেকে বর্জ্য ত্বকে জমা হয় এবং 'ইউরেমিক ফ্রস্ট' নামক একটি অবস্থাও দেখা দিতে পারে।
advertisement
advertisement
*কখন চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত? উপরের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পরিবারে কিডনির সমস্যা আছে বা যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ক্রিয়েটিনিন ও অ্যালবুমিন পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির সমস্যা শুরুতেই শনাক্ত করা যায়।
advertisement
*কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য টিপসঃ শরীরকে সর্বদা ডিহাইড্রেটেড হওয়া থেকে রক্ষা করার ফলে কিডনি বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে দেয়। এটি কিডনিতে পাথর গঠনে বাধা দেয়। ফলমূল, শাকসবজি এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান। সোডিয়াম ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমাতে হবে। প্রতিদিনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। বিপি নিয়ন্ত্রণে রাখে।