শুক্রাণুর পরিমাণ,গুণগত মান বিচার! শুক্রাণু বাছাই করার বিশেষ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে গবেষণা

Last Updated:
জানা গিয়েছে যে, প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ১৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে।
1/5
বিগত ৫০ বছর জুড়ে পৃথিবীতে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে তো বটেই, পাশাপাশি বিশ্বের আরও নানা প্রান্তে এই সমস্যায় মূলত নারীদেরই আগে দায়ী করা হয়ে থাকে। কিন্তু শুক্রাণুর (Sperms) পরিমাণ, তার গুণগত মান, সে নারীশরীরের ডিম্বাণুকে কতটা গতিবেগে নিষিক্ত করতে পারছে- এই বিষয়গুলিও সমান প্রাসঙ্গিক সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
বিগত ৫০ বছর জুড়ে পৃথিবীতে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে তো বটেই, পাশাপাশি বিশ্বের আরও নানা প্রান্তে এই সমস্যায় মূলত নারীদেরই আগে দায়ী করা হয়ে থাকে। কিন্তু শুক্রাণুর (Sperms) পরিমাণ, তার গুণগত মান, সে নারীশরীরের ডিম্বাণুকে কতটা গতিবেগে নিষিক্ত করতে পারছে- এই বিষয়গুলিও সমান প্রাসঙ্গিক সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
advertisement
2/5
বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে আইভিএফ (IVF) বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (In Vitro Fertilisation) পদ্ধতির প্রয়োগ এখন অনেকের কাছেই সুপরিচিত। এই পদ্ধতি প্রয়োগে অনেক দম্পতিই কৃত্রিম চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মুখ দেখেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও চিকিৎসকদের সমস্যায় ফেলে দেয় শুক্রাণুর পরিমাণ, তার গুণগত মান এবং গতিবেগের বিষয়টি। জানা গিয়েছে যে, প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ১৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে। নারীশরীরে প্রবেশের পর এদের মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ শুক্রাণুর ক্ষমতা থাকে ডিম্বাণু (Eggs) নিষিক্ত করার। তাই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে চিকিৎসকদের সংগ্রহ করা বীর্য থেকে উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত শুক্রাণু বেছে নিতে হয়।
বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে আইভিএফ (IVF) বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (In Vitro Fertilisation) পদ্ধতির প্রয়োগ এখন অনেকের কাছেই সুপরিচিত। এই পদ্ধতি প্রয়োগে অনেক দম্পতিই কৃত্রিম চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মুখ দেখেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও চিকিৎসকদের সমস্যায় ফেলে দেয় শুক্রাণুর পরিমাণ, তার গুণগত মান এবং গতিবেগের বিষয়টি। জানা গিয়েছে যে, প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ১৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে। নারীশরীরে প্রবেশের পর এদের মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ শুক্রাণুর ক্ষমতা থাকে ডিম্বাণু (Eggs) নিষিক্ত করার। তাই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে চিকিৎসকদের সংগ্রহ করা বীর্য থেকে উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত শুক্রাণু বেছে নিতে হয়।
advertisement
3/5
কিন্তু কাজটি সহজ নয়। প্রথমত এর সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো জটিল ব্যাপার যেমন জড়িয়ে থাকে, তেমনই জড়িয়ে থাকে পুরুষের স্বাস্থ্যগত দিকটিও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মনাশ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকরা দাবি করেছেন যে এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ পদ্ধতির প্রয়োগে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তাঁরা পরীক্ষাগারে ৩০ ডিগ্রি কোণাকুণি ভাবে এই অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ প্রয়োগ করেছিলেন সংগৃহীত বীর্যে। দেখা গিয়েছে যে ইনট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন যেখানে বড় জোর ৬২ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত শুক্রাণু আলাদা করতে পারত, সেখানে এই পদ্ধতি প্রয়োগে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু কাজটি সহজ নয়। প্রথমত এর সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো জটিল ব্যাপার যেমন জড়িয়ে থাকে, তেমনই জড়িয়ে থাকে পুরুষের স্বাস্থ্যগত দিকটিও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মনাশ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকরা দাবি করেছেন যে এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ পদ্ধতির প্রয়োগে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তাঁরা পরীক্ষাগারে ৩০ ডিগ্রি কোণাকুণি ভাবে এই অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ প্রয়োগ করেছিলেন সংগৃহীত বীর্যে। দেখা গিয়েছে যে ইনট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন যেখানে বড় জোর ৬২ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত শুক্রাণু আলাদা করতে পারত, সেখানে এই পদ্ধতি প্রয়োগে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
4/5
শুধু তাই নয়, এই অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ (Acoustic Waves) পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রতি সেকেন্ডে উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত ১৪০টি শুক্রাণু এবং সেই হিসেব মতো এক ঘণ্টারও কম সময়ে ৬০ হাজারেরও বেশি শুক্রাণু আলাদা করে নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে।
শুধু তাই নয়, এই অ্যাকাউস্টিক ওয়েভ (Acoustic Waves) পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রতি সেকেন্ডে উচ্চ প্রজননক্ষমতাযুক্ত ১৪০টি শুক্রাণু এবং সেই হিসেব মতো এক ঘণ্টারও কম সময়ে ৬০ হাজারেরও বেশি শুক্রাণু আলাদা করে নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে।
advertisement
5/5
সঙ্গত কারণেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত বোধ করছেন অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্টির এই চিকিৎসক তথা গবেষকরা। তাঁদের দাবি- যদি এই পদ্ধতির প্রয়োগ ব্যাপক হারে করা সম্ভব হয়, তবে সারা বিশ্ব জুড়েই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার মোকাবিলা করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠবে!
সঙ্গত কারণেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত বোধ করছেন অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্টির এই চিকিৎসক তথা গবেষকরা। তাঁদের দাবি- যদি এই পদ্ধতির প্রয়োগ ব্যাপক হারে করা সম্ভব হয়, তবে সারা বিশ্ব জুড়েই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার মোকাবিলা করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠবে!
advertisement
advertisement
advertisement