Migraine vs Headaches: মাথা যন্ত্রণায় জীবন জেরবার? মনে হচ্ছে মাথার ভিতর হাতুড়ি পেটাচ্ছে কেউ? মাইগ্রেন কাবু করার সেরা টিপস
- Published by:Raima Chakraborty
- trending desk
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Migraine vs Headaches: ওষুধ খাওয়াটা এক্ষেত্রে একটা বিকল্প হতে পারে ঠিকই, কিন্তু যোগাভ্যাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক উপায়ে এই সমস্যাকে অনেকটাই কাবু করা যেতে পারে।
তীব্র মাথা যন্ত্রণা এবং মাইগ্রেন মারাত্মক সমস্যা বয়ে আনতে পারে। জীবনযাত্রা পর্যন্ত ব্যাহত হতে পারে। ওষুধ খাওয়াটা এক্ষেত্রে একটা বিকল্প হতে পারে ঠিকই, কিন্তু যোগাভ্যাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক উপায়ে এই সমস্যাকে অনেকটাই কাবু করা যেতে পারে। কারণ যোগসন স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, পেশির টান উপশম করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। কোন কোন যোগাসনের মাধ্যমে মাইগ্রেনকে কাবু করা যেতে পারে, সেই বিষয়েই আলোচনা করে নেওয়া যাক। জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রায়না শঙ্কর।
advertisement
বালাসন:বালাসন হল মনকে শান্ত করার বিশ্রামের ভঙ্গি। এটি মনকে শান্ত করে এবং পিঠ, কাঁধ ও ঘাড়ের আড়ষ্টতাকে দূর করে। মানসিক চাপও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এর জন্য ম্যাটে হাঁটু মুড়ে নিজের গোড়ালির উপর বসতে হবে। এবার ধীরে ধীরে সামনে ঝুঁকে শুয়ে ম্যাটে কপাল স্পর্শ করাতে হবে। হাত দু’টো রাখতে হবে সামনের দিকে। এবার শরীর আর মেরুদণ্ডকে শিথিল করতে হবে।
advertisement
উত্তনাসন:মেরুদণ্ড, ঘাড় এবং কুঁচকির স্ট্রেচিংয়ে সহায়ক এটি। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন করে। কাঁধ এবং ঘাড়ের টান ভাব দূর হয়। মাথা ব্যথাজনিত অস্বস্তিও কমে। পা জোড়া করে দাঁড়াতে হবে। এবার কোমরের কোমরের উপরিভাগ সামনের দিকে ভাঁজ করে মেঝের দিকে ঝুঁকিয়ে নিতে হবে। স্বস্তির জন্য অল্প করে হাঁটু ভাঁজ করা যেতে পারে। এবার হাত দু’টিকে ম্যাটের উপর রাখা যেতে পারে।
advertisement
বিপরীত করণী:এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, ক্লান্তি দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। যা মাইগ্রেন কমায়। দেওয়ালের একদম কাছাকাছি বসতে হবে এবং চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এবার পা দু’টি দেওয়াল বরাবর উল্লম্ব ভাবে প্রসারিত করতে হবে। শরীরের দু’পাশে হাত দুটো রাখতে হবে আর হাতের তালু উপরের দিকে রাখতে হবে। ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে এবং সেই অবস্থায় ৫-১০ মিনিট থাকতে হবে।
advertisement
সেতু বন্ধাসন:এটি বুক এবং মেরুদণ্ড স্ট্রেচ করতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মেরুদণ্ডের টান দূর করে। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। শ্বাসপ্রশ্বাসে সুবিধা হয়। এর জন্য চিত হয়ে শুতে হবে। হাঁটু ভাঁজ করে নিতম্বকে একটু উত্তোলন করতে হবে মাটি থেকে। হাত দু’টোকে শরীরে দু’পাশে পায়ের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে এবং তা আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।
advertisement
অধো-মুখ শবাসন:গোটা দেহের স্ট্রেচিং হয় এই আসনে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, আড়ষ্ট পেশিকে শিথিল করে। এর জন্য শরীরকে সামনের দিকে ঝুঁকে মাটি স্পর্শ করতে হবে দু’হাত দিয়ে। শরীরের মাধ্যমে একটি ইনভার্টেড ‘ভি’ আকৃতির করতে হবে। হাতের মাঝে মাথাকে শিথিল অবস্থায় রাখতে হবে। কিছু সময়ের জন্য শ্বাস ধরে রাখতে হবে।
advertisement
পদ্মাসন:শরীর ও মনকে শান্ত করে। বসার ভঙ্গি ঠিক রাখে। মাথায় রক্তে সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথা যন্ত্রণার উপসর্গ হ্রাস করে। প্রথমে পা দু’টি সামনের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার একটি হাঁটু ভাঁজ করে অন্য থাইয়ের উপর রাখতে হবে। অন্য পায়ের ক্ষেত্রেও সেটা করতে হবে। টানটান হয়ে বসে হাঁটুর উপর হাত দু’টো রাখতে হবে। চোখ বন্ধ রেখে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করতে হবে।
advertisement
শবাসন:শবাসন সম্পূর্ণ ভাবে শরীর এবং মনকে শিথিলতা প্রদান করে। মানসিক চাপ কমায়, মনে আনে তরতাজা ভাব। সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেন থেকে মুক্তি মেলে। এর জন্য হাত দু’টি শরীরের দু’পাশে রেখে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। তবে হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে। চোখ বন্ধ করে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করতে হবে। এভাবে ৫-১০ মিনিট থাকতে হবে।
