Mango For Weight Loss: আম খেলে বাড়বে ওজন, এই ধারণা কি আদৌ ঠিক? সচেতন হন এই মরসুমে

Last Updated:
Mango For Weight Loss: আম খেলে কি আদৌ ওজন কমে? না কি বাড়ে? এ নিয়ে ভিন্ন মতামত রয়েছে।
1/12
গরমের মরসুমের বোধহয় সবথেকে ভালো বিষয় হচ্ছে আম। আর আম খেতে কে-না ভালোবাসেন! কাঁচা-পাকা নানা ধরনের আমে এই সময় খাবার প্লেট হয়ে ওঠে রঙিন। বলা হয় যে, আম খেলে ওজন অথবা ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা তো থাকেই, এমনকী শরীরের তাপের উপরও প্রভাব ফেলে আম।
গরমের মরসুমের বোধহয় সবথেকে ভালো বিষয় হচ্ছে আম। আর আম খেতে কে-না ভালোবাসেন! কাঁচা-পাকা নানা ধরনের আমে এই সময় খাবার প্লেট হয়ে ওঠে রঙিন। বলা হয় যে, আম খেলে ওজন অথবা ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা তো থাকেই, এমনকী শরীরের তাপের উপরও প্রভাব ফেলে আম।
advertisement
2/12
তাই বুঝেশুনে আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আবার কখনও কখনও ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় ফলের রাজাকে। তাহলে আলোচনা করে নেওয়া যাক, এই প্রচলিত ধারণাগুলির সত্যাসত্যের বিষয়ে।
তাই বুঝেশুনে আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আবার কখনও কখনও ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় ফলের রাজাকে। তাহলে আলোচনা করে নেওয়া যাক, এই প্রচলিত ধারণাগুলির সত্যাসত্যের বিষয়ে।
advertisement
3/12
‘আম খেলে ওজন বাড়ে!’ - আম খেলে কি আদৌ ওজন কমে? না কি বাড়ে? এ নিয়ে ভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি, আমে ওজন কমানোর বহু উপাদান রয়েছে। আবার কিছু পুষ্টিবিদ ওজন কমানোর জন্য আম ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেন। কারণ আম উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত, যা ওজন বাড়িয়ে দেয় বলে বিশ্বাস।
‘আম খেলে ওজন বাড়ে!’ - আম খেলে কি আদৌ ওজন কমে? না কি বাড়ে? এ নিয়ে ভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি, আমে ওজন কমানোর বহু উপাদান রয়েছে। আবার কিছু পুষ্টিবিদ ওজন কমানোর জন্য আম ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেন। কারণ আম উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত, যা ওজন বাড়িয়ে দেয় বলে বিশ্বাস।
advertisement
4/12
আসলে আম ভীষণই সুস্বাদু এবং রসালো ফল, যা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায় এবং অন্যান্য মরসুমে এটি খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই আম বোধহয় সকলেরই প্রিয়। আম খেলে ওজন বাড়ে না-কমে, এই নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছিল। তাতে ২৭ জন অংশগ্রহণকারীকে ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০০ ক্যালোরির আম খাওয়ানো হয়।
আসলে আম ভীষণই সুস্বাদু এবং রসালো ফল, যা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায় এবং অন্যান্য মরসুমে এটি খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই আম বোধহয় সকলেরই প্রিয়। আম খেলে ওজন বাড়ে না-কমে, এই নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছিল। তাতে ২৭ জন অংশগ্রহণকারীকে ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০০ ক্যালোরির আম খাওয়ানো হয়।
advertisement
5/12
তার পর দেখা যায় যে, তাঁদের রক্তে শর্করা, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) প্রভৃতি কমেছে এবং সর্বোপরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, আম খাওয়ার পরে অংশগ্রহণকারীদের দেহের ওজন, রক্তচাপ, ইনসুলিন এবং লিপিড প্রোফাইলে সেরকম পরিবর্তন আসেনি।
তার পর দেখা যায় যে, তাঁদের রক্তে শর্করা, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) প্রভৃতি কমেছে এবং সর্বোপরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, আম খাওয়ার পরে অংশগ্রহণকারীদের দেহের ওজন, রক্তচাপ, ইনসুলিন এবং লিপিড প্রোফাইলে সেরকম পরিবর্তন আসেনি।
advertisement
6/12
‘আম থেকে ব্রন হতে পারে!’ - একেবারেই না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমে ভিটামিন-এ, সি, আয়রন, পটাশিয়াম, কপারের মতো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ব্রণ আসলে তীব্র গরমের কারণে হতে পারে, কিন্তু সেটা আমের জন্য একেবারেই নয়।
‘আম থেকে ব্রন হতে পারে!’ - একেবারেই না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমে ভিটামিন-এ, সি, আয়রন, পটাশিয়াম, কপারের মতো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ব্রণ আসলে তীব্র গরমের কারণে হতে পারে, কিন্তু সেটা আমের জন্য একেবারেই নয়।
advertisement
7/12
‘ডায়াবেটিস থাকলে আম খাওয়া চলবে না’ - পরিমিত ভাবে খেলে ডায়াবেটিস থাকলেও আম খাওয়া যায়। আসলে ফলটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে ডাক্তাররা ডায়াবেটিসে আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১, যা কম হলেও নন-ডায়াবেটিক খাবারের সঙ্গে তুলনা করলে অনেকটাই বেশি। কারণ ডায়াবেটিস থাকলে ৫৫-এর বেশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার না-খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
‘ডায়াবেটিস থাকলে আম খাওয়া চলবে না’ - পরিমিত ভাবে খেলে ডায়াবেটিস থাকলেও আম খাওয়া যায়। আসলে ফলটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে ডাক্তাররা ডায়াবেটিসে আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১, যা কম হলেও নন-ডায়াবেটিক খাবারের সঙ্গে তুলনা করলে অনেকটাই বেশি। কারণ ডায়াবেটিস থাকলে ৫৫-এর বেশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার না-খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
8/12
‘আম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়’ - এটা ঠিক যে, আম শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। আসলে আম শরীর ঠান্ডা রাখার বদলে গরম করে দেয়। আর সেই কারণেই আম খাওয়ার আগে খানিকক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়।
‘আম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়’ - এটা ঠিক যে, আম শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। আসলে আম শরীর ঠান্ডা রাখার বদলে গরম করে দেয়। আর সেই কারণেই আম খাওয়ার আগে খানিকক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়।
advertisement
9/12
‘হৃদযন্ত্র বা হার্টের জন্য উপকারী’ - এটা একেবারেই সঠিক তথ্য। দেহের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে আম। আম উপস্থিত ম্যাঙ্গিফেরিন যৌগ হার্টের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে সহায়তা করে।
‘হৃদযন্ত্র বা হার্টের জন্য উপকারী’ - এটা একেবারেই সঠিক তথ্য। দেহের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে আম। আম উপস্থিত ম্যাঙ্গিফেরিন যৌগ হার্টের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে সহায়তা করে।
advertisement
10/12
‘হজমের জন্য ভালো’ - আম ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেই সমস্যা দূর করতে আম খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। আমের মধ্যে থাকা অ্যামাইলেজ যৌগ শর্করা জাতীয় খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে।
‘হজমের জন্য ভালো’ - আম ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেই সমস্যা দূর করতে আম খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। আমের মধ্যে থাকা অ্যামাইলেজ যৌগ শর্করা জাতীয় খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে।
advertisement
11/12
দিনে কটা করে আম খাওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এক দিনে ২ কাপ বা ৩৫০ গ্রামের কম আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ১০০ গ্রাম আমে থাকে ৬০ ক্যালোরি। আর একটি গোটা আমে ২০২ ক্যালোরি থাকে।
দিনে কটা করে আম খাওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা সাধারণত এক দিনে ২ কাপ বা ৩৫০ গ্রামের কম আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ১০০ গ্রাম আমে থাকে ৬০ ক্যালোরি। আর একটি গোটা আমে ২০২ ক্যালোরি থাকে।
advertisement
12/12
এছাড়া আমে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফাইবার, সুগার, ভিটামিন-সি, কপার, ফোলেট, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, নিয়াসিন, পটাশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ম্যাগনেশিয়াম এবং থায়ামিনের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।
এছাড়া আমে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফাইবার, সুগার, ভিটামিন-সি, কপার, ফোলেট, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, নিয়াসিন, পটাশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ম্যাগনেশিয়াম এবং থায়ামিনের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement