শুধুমাত্র সংক্রমণ ছড়িয়েই করোনাভাইরাস শান্ত হয় না সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন। সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরেও নানা রকমের শারীরিক সমস্যায় ভুগেছেন অনেক রোগী। অনেকেরই আবার কোভিড (Long Covid Risk) পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, রেহাই পাননি তাঁরাও। কোভিডের পরেও শারীরিক অবনতির নামই হল লং কোভিড উপসর্গ বা পোস্ট কোভিড উপসর্গ। প্রতীকী ছবি।
কাদের বেশি প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা?
যাঁদের চল্লিশের উপর বয়স আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যাঁদের অন্যান্য অসুখ আগে থেকেই আছে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ (Long Covid Risk)ক্ষমতা কম হয়। ফলে তাঁদের শরীরে এই জীবাণু সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া যদি কেউ ঠিকমতো কোভিড বিধি না মানে তাঁদের সংস্পর্শে এলেও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতীকী ছবি।
কীভাবে এড়ানো যেতে পারে লং কোভিডের ঝুঁকি?
সবার আগে ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ করতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে কোভিড ও সেই সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই দূরে রাখা সম্ভব হবে। চিকিৎসকরা আশা করছেন যে ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে লং কোভিড বা পোস্ট কোভিডের সমস্যা খুব একটা গুরুতর হবে না। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে যে ষাটের উপরে যাঁরা দুটো ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের লং কোভিডের সমস্যা অনেক কম হয়েছে। অবশ্য ১৯-৩৫ বছর বয়সীদের উপর খুব একটা প্রভাব ফেলেনি ভ্যাকসিন। প্রতীকী ছবি।
লং কোভিডের কোন সমস্যা সর্বাধিক প্রভাব ফেলতে পারে?
কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা যেমন কাশি, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসে কষ্ট এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। কিন্তু ব্রেন ফগ এবং সেরে ওঠার পরেও খাবারে স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়ার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এছাড়া যাঁদের কোভিডে আক্রান্ত (Long Covid Risk)হওয়ার আগেই হার্টের সমস্যা ছিল বা যাঁরা ডায়াবেটিস বা ক্যানসারে আক্রান্ত তাঁদের অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। প্রতীকী ছবি।