Lifestyle Tips: ভ্যাপসা গরমে কোনও সবজিই তরতাজা রাখা দায়! রইল টিপস

#কলকাতা: পেঁয়াজ হল জাদু সবজি। খাবারে স্বাদ তো বাড়ায়ই, সঙ্গে স্বাস্থ্যগুণও যোগ করে। কিন্তু সমস্যা হল, পেঁয়াজ খারাপ হয়েছে কি না সেটা বোঝা প্রায় দুঃসাধ্য। সাধারণত রান্নাঘরে বা ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখা হয়। দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে অজান্তেই খারাপ হতে শুরু করে। কিন্তু পেঁয়াজ পচে গিয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা কিছুটা কঠিন। এখানে পেঁয়াজ খারাপ হয়েছে কি না সেটা পরীক্ষা করার কয়েকটা সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল।

পেঁয়াজ তাজা কি না বোঝা যাবে কী করে: পেঁয়াজের বেশ কয়েকটা স্তর রয়েছে। তাই এটা তাজা রয়েছে কি না বোঝা একটু শক্ত। তবে কেনার সময়েই সতর্ক হতে হবে। দেখে নিতে হবে পেঁয়াজের গায়ে যেন কালো দাগ না থাকে। এটাই পচনের প্রাথমিক লক্ষণ। এরপর দেখতে হয় পেঁয়াজের গন্ধ কেমন! যদি গন্ধ খুব তীব্র হয়, রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং অঙ্কুর বেরোয় তাহলে বুঝতে হবে পেঁয়াজ পচে গিয়েছে। পেঁয়াজ খারাপ হয়ে গেলে খাদ্যগুণ কমে যায়। ফলে রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, শরীর খারাপও হতে পারে। পেঁয়াজকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে এবং পচন থেকে বাঁচানোর কয়েকটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হল।

পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভাল রাখার কৌশল: মূলত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু চলাচলের তারতাম্য হলে পেঁয়াজে পচন ধরে। এজন্যই মা-ঠাকুমারা ঠান্ডা জায়গায় পেঁয়াজ রাখতেন। এ জন্য অনেকেই ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখেন। কিন্তু এটা কি আদৌ কার্যকর? আসলে পেঁয়াজ কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে তার উপর গোটা ব্যাপারটা নির্ভর করে। সবথেকে ভাল হয় যদি বায়ুরোধী পাত্র বা ব্যাগে সিল করে রাখা যায়। এতে পেঁয়াজ ইথিলিন নিঃসরণ করতে পারে না। ফলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এছাড়া দীর্ঘদিন পেঁয়াজকে ভাল রাখতে চাইলে ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যাতে সেই জায়গায় বেশি আর্দ্রতা না থাকে।

পেঁয়াজের খাদ্যগুণ: পেঁয়াজের খাদ্যগুণ জানলে অবাক হতে হয়। এটা সালফার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়ামে ভরপুর। কাঁচা পেঁয়াজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এটা ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যর জন্য ভাল। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমশক্তি বাড়ে।