#কলকাতা: উৎসবের মরসুমে প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও অনিয়ম ঘটেছে। এর ফলে শরীরকে সতেজ ও ফিট রাখার একমাত্র উপায় হল যোগাসন (Yoga)। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের মনকেও সতেজ রাখতে সহায়তা করে যোগাসন। নিজেদের শরীরকে সতেজ রাখতে বাড়িতেই করা যেতে পারে যোগাসন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই ৫ যোগাসন, যা শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
উষ্ট্রাসন (Ustrasana)
এই আসনটিকে অনেকে ক্যামেল পোজ (Camel Pose) বলে থাকে। আসনটি করার সময় শরীরের আকার উটের মতো হয়ে যায় বলে এই নামকরণ করা হয়েছে। এটি করার জন্য প্রথমেই মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। এর পর শরীরটিকে পেছেনের দিকে হেলিয়ে দু'টি হাত দিয়ে, দুই পায়ের গোড়ালির দিকটি ধরতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী নিয়মিত এই যোগাসন করতে পারলে, এটি বুক, তলপেট এবং শরীরের বিভিন্ন পেশির জন্য খুবই উপকারি। এর মাধ্যমে পেটের গ্যাসের সমস্যা, হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পেছনের অংশ এবং শিরদাঁড়া মজবুত হবে।
সেতু বন্ধনাসন (Setu Bandhanasana)
এই আসনটিকে অনেকে ব্রিজ পোজ (Bridge Pose) বলে থাকে। আসনটি করার সময় শরীরের আকার ব্রিজ অর্থাৎ সেতুর মতো হয়ে যায় বলে এই নামকরণ। এই আসনের মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্পাইন, গলা এবং বুকের বিভিন্ন পেশি ও হাড়ের সমস্যার সমাধান হয় এই আসনের মাধ্যমে। এই আসনের মাধ্যমে হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।
পশ্চিমোত্থানাসন (Paschimottanasana)
এই আসনটি করার জন্য প্রথমেই দু'টি পা মেলে বসতে হবে। এর পর নিজেদের দু'টি হাত দিয়ে দুই পায়ের পাতা ধরে পুরো শরীরটিকে পায়ের সঙ্গে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেদের মাথাটিকে হাঁটুর সঙ্গে লাগাতে হবে। এই আসনটি করার সময় দু'টি পা যেন মাটিতে লেগে থাকে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এই আসনটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ শরীরটি স্ট্রেচ করার ফলে সমস্ত পেশির সঞ্চালন হয়। এর ফলে সমস্ত পেশির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের লোয়ার ব্যাকের অংশও মজবুত হয়।
পবনমুক্তাসন (Pavanmuktasana)
এই আসনটি করার সময় প্রথমেই ওপরের দিকে তাকিয়ে টানটান হয়ে শুতে হবে। এর পর একটি পা ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে সেটি জড়িয়ে ধরে বুকের সঙ্গে আটকে রাখতে হবে। একটি একটি করে দু'টি পা করার পর, একসঙ্গে দু'টি পা নিয়েও এটি করা যাবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সেটি করতে হবে। এই আসনটির মাধ্যমে শরীরের সকল গ্যাস নির্গত হয়ে যায়। এর মাধ্যমে কোষ্ঠ-কাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।