তীব্র ছোঁয়াচে এই অসুখ সাধারণত আসে কৈশোর বা তারুণ্যে, কী এই ‘চুম্বন অসুখ’ বা ‘কিসিং ডিজিজ’, জানুন

‘মোনোনিউক্লিওসিস’ অসুখে সাধারণত আক্রান্ত হয় কিশোর কিশোরীরা ৷ তবে তরুণ তরুণীদের ক্ষেত্রেও হানা দিতে পারে এই অসুখ৷ ‘এপস্টেইন বার ভাইরাস’ বা ইবিভি-এর আক্রমণে এই রোগ হয় ৷ দেখা দেয় সংক্রমণ৷

কথ্যভাষায় এই অসুখকে ‘কিসিং ডিজিজ’-ও বলা হয় ৷ কারণ স্যালাইভার মতো বডি ফ্লুইডের মাধ্যমে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ বিপজ্জনক না হলেও এই অসুখ খুব ছোঁয়াচে৷ ফলে শারীরিক উপসর্গের পাশাপাশি এই অসুখের ভোগান্তি হল কাজের জায়গায় বেশ ক’দিন অনুপস্থিতি ৷

এপস্টেইন বার ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই যে শরীরে উপসর্গ দেখা দেবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ অনেকেই নীরবে এই জীবাণু নিয়ে বহন করে চলেন ৷ এই রোগের উপসর্গ বেশ পরিচিত ও সাধারণ৷

গলাব্যথা এই অসুখের অন্যতম উপসর্গ৷ অনেক সময় এরকমও হয় যে অ্যান্টিবায়োটিকেও সেই যন্ত্রণা সারে না৷ জ্বরের পাশাপাশি ঘাড় ও বাহুমূলের গ্রন্থি ফুলে ওঠে৷

ফুলে যেতে পারে টনসিল৷ তার সঙ্গে মাথাযন্ত্রণা, ত্বকের সংক্রমণের মতো উপসর্গও দেখা যেতে পারে ৷

আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার চার থেকে ছ’ সপ্তাহের মধ্যে শরীরে বিস্তার হয় এই জীবাণুর৷ এই পর্বটাকে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড৷ উপসর্গের মধ্যে জ্বর ও গলাব্যথা সাধারত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কমে যায়৷ বাকি উপসর্গ কমতে সময় লাগে৷

‘মোনোনিউক্লিওসিস’ বা কিসিং ডিজিজের কোনও টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই৷ উপসর্গ বুঝে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করেন৷

এই অসুখে ক্লান্তি গ্রাস করে৷ তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার৷ প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে৷ গলার সংক্রমণ কমাতে নুনজলে গার্গল করতে হবে৷