কিডনির সমস্যা চিনতে সাহায্য করতে পারে প্রস্রাব! জেনে নিন ডাক্তারের পরামর্শ

Last Updated:
দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ হল কিডনি। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে এবং তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু, অনেক সময়েই দেখা যায় কিডনির সমস্যা আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে প্রস্রাবের বর্ণ, গন্ধ, বা পরিমাণ কিডনির সমস্যা বুঝতে সাহায্য করে।
1/7
খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, অরুচির মতো লক্ষণও থাকতে পারে এই রোগের উপসর্গের মধ্যে৷ কারণ ছাড়াই আচমকা কমতে পারে ওজন৷ যখন তখন ক্লান্তি এসে গ্রাস করতে পারে৷ জ্বর হতে পারে৷ কোনও কারণ ছাড়াই ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে৷
দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ হল কিডনি। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে এবং তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু, অনেক সময়েই দেখা যায় কিডনির সমস্যা আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে প্রস্রাবের বর্ণ, গন্ধ, বা পরিমাণ কিডনির সমস্যা বুঝতে সাহায্য করে।
advertisement
2/7
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কিডনি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিডনি ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি ঝুঁকির কারণ রয়েছে। রেনাল সেল কার্সিনোমা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কিডনি ক্যানসারের সবচেয়ে ঘন ঘন দেখতে পাওয়া যাওয়া রূপ। উইলমস টিউমার, এক ধরণের কিডনি ক্যানসার, ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
এই প্রসঙ্গে আহমেদাবাদের বি জে মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার সুধাংশু রাই জানান, প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য জানা সম্ভব। মূলত 'ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন' মূলত প্রস্রাবের তিন ধরনের প্রকৃতি এবং তাঁর অর্থ বিশ্লেষণ করেছে।
advertisement
3/7
যদি পাথর ছোট হয় এবং আপনি সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখেন, পর্যাপ্ত জল পান করেন এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করেন, তাহলে এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত চেকআপ, সুষম খাদ্য এবং একটি সক্রিয় জীবনধারা কেবল পাথর থেকে মুক্তি দিতে পারে না বরং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।
১) বর্ণ এবং স্বচ্ছতা: অর্থাৎ মূত্র হলুদ, ফ্যাকাশে না কি কালচে?২) ঘনত্ব: মূত্রের ঘনত্বের মাধ্যমে দেহে জলের ভারসাম্য বোঝা যায়।
advertisement
4/7
চিকিৎসকদের মতে, যদি কিডনিতে পাথর খুব বড় হয় বা প্রস্রাব আটকে থাকে, তাহলে তা প্রস্রাবে ব্যথা এবং রক্তের সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, অবিলম্বে একজন ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও সামান্য অবহেলা গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রাথমিক যত্ন অস্ত্রোপচার এড়াতে পারে। কিডনিতে পাথর সবসময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিরাময় করা হয় না।
৩) পিএইচ-এর মাত্রা: মূত্রের মধ্যে অ্যাসিডের উপস্থিতির মাধ্যমে কোনও সংক্রমণ বা পুষ্টি উপাদানের অভাব নির্ধারণ করা সম্ভব।৪) অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা: গবেষণাগারে মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জীবাণু, লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকা বা সংক্রমণ সম্পর্কে জানা সম্ভব।
advertisement
5/7
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)(সব ছবি-নেটমাধ্যম)
প্রস্রাব এবং কিডনির স্বাস্থ্য১) মূত্রের রং যদি গাঢ় খয়েরি হয়, তা হলে 'হেমাচুরিয়া' হতে পারে। কিডনি বা মুত্রনালির কোনও অংশ ঠিকমতো কাজ না করলে এই পরিস্থিতি হতে পারে।
advertisement
6/7
কিডনি শরীরের সবচেয়ে পরিশ্রমী অঙ্গ, যা শরীর পরিষ্কার করে। তারা প্রতিদিন রক্ত ​পরিশোধন করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত পদার্থ অপসারণ করে। যখন কিডনি দুর্বল হয়ে যায়, তখন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে রাতের বেলা প্রস্রাব, প্রস্রাবের রঙ বিবর্ণ হওয়া, প্রস্রাবের ফেনা, প্রদাহ, ক্লান্তি, মুখে তিক্ত স্বাদ, ক্ষুধা হ্রাস এবং ফ্যাকাশে ভাব। মাঝে মাঝে, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোমরের নীচে ব্যথাও কিডনির উপর চাপ বৃদ্ধির লক্ষণ।
২) মূত্রের সঙ্গে যদি ফেনা নির্গত হয়, তা হলে বুঝতে হবে, মূত্রের মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিকে অ্যালবুমিনুরিয়া বলা হয়। কিডনি দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করে।
advertisement
7/7
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাব: ঘুম হল সেই সময় যখন আমাদের শরীর নিজেকে মেরামতের কাজ করে। দীর্ঘস্থায়ী অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ থেকে উচ্চ রক্তচাপ, বিপাকীয় চাপ এবং প্রদাহের সমস্যা হয়, যা পরোক্ষভাবে কিডনির ক্ষতি করে। এভাবে কালক্রমে ব্যাহত সার্কাডিয়ান রিদম এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কিডনির ক্ষয় ত্বরান্বিত করতে পারে।
কিডনির সমস্যা শনাক্তকরণ১) যারা সুগার, প্রেশার এবং বার বার মুত্রনালির সংক্রমণের ভোগেন, তাঁদের কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।২) অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খাওয়া এবং কম জলপানের অভ্যাস কিডনির সমস্যা তৈরি করে।৩) সুস্থ কিডনির জন্য ৬ মাস অন্তর এক বার করে মুত্র পরীক্ষা করানো উচিত।৪) মুত্রত্যাগের সময়ে কোনও অস্বস্তি বা জ্বালা ভাব কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনার দিকে নির্দেশ করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে কিডনিতে প্রবল সংক্রমণও হতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement