Onion Cutting Without Crying: পেঁয়াজ কাটবেন অথচ চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়বে না! এই সহজ উপায়গুলি ম্যাজিকের মতো কাজ করবে

কষিয়ে মাংসের ঝোল বা মাছের, ডিম হোক বা কোনও সব্জি, রান্নায় পেঁয়াজ না দিলে মন ভরে নাকি! আমিষ প্রিয় ভোজনরসিকদের বাড়িতে পেঁয়াজ তো অতি মূল্যবান মশলা জাতীয় উদ্ভিদ। বেশির ভাগ বাড়িতেই যা ছাড়া রান্নাই চাপে না। কিন্তু েই পেঁয়াজ কাটা মানেই ঝক্কি!

পেঁয়াজ কাটতে বসা মানেই চোখ জ্বালা, চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কটকট করা। কত কী সহ্য করতে হয় এই মশলার জন্য। তাই পেঁয়াজ ছোলা বা কাটার কাজে অনীহা আছে অনেকের।

তবে জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ কাটলে চোখে কোনও প্রভাবই পড়ে না। দেখে নেওয়া যাক পেঁয়াজ কাটার সহজ উপায়। কীভাবে কাঁদতে কাঁদতে না, হাসতে হাসতে পেঁয়াজ কাটবেন।

ব্রিটিশ শেফ জেমস মার্টিন কয়েকটি পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন। প্রথমত, পেঁয়াজের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থেকে পেঁয়াজ কাটুন। খুব বেশি কাছে চলে গেলে চোখে ঝাঁঝ লাগবেই। খুব ধারালো ছুরি বা বঁটিতে পেঁয়াজ কাটুন। এতে পেঁয়াজের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে কম পরিমাণে সালফার ক্ষরিত হয়। কাটার সময় ছুরি বা বঁটিতে ভিনিগার মাখিয়ে নিন। ভিনিগার সালফার যৌগকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

পেঁয়াজ কাটার সময় গোড়ার অংশটা কেটে ফেলে দিন। পেঁয়াজের বেশির ভাগ উৎসেচক গোড়ার দিকেই থাকে। তা ছাড়া অনলাইনে একটি ‘অনলাইন গগলস’ কিনে নিতে পারেন। এটা চোখে পরে নিলে ঝাঁঝ আসে না চোখে।

শেফের কথায়, কেউ কেউ আবার উদ্ভট কিছু পন্থা অবলম্বন করেন। তার মধ্যে একটি হল, মুখে চামচ নিয়ে পেঁয়াজ কাটা। কেউ আবার মুখে পাঁউরুটির টুকরোও ব্যবহার করেন। যদিও এই ধরনের পদ্ধতিগুলিতে ভরসা নেই শেফের। কিন্তু আপনি এই পন্থা ব্যবহার করতেই পারেন।

এছাড়াও কিছু নিয়ম রয়েছে, পেঁয়াজ কাটার আগে খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পর বার করে, ভাল করে ধুয়ে, তারপর কাটুন। বা মাইক্রোওয়েভে রেখে ৪৫ সেকেন্ড গরম করে নিন। এতে রাসায়নিক পদার্থ বেরিয়ে যায় পেঁয়াজ থেকে। ফলে চোখের ক্ষতি হয় না।

পেঁয়াজ কাটার আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিন পাশে। পেঁয়াজের সমস্ত ঝাঁঝ সেই আগুনের দিকে চলে যায়। ফলে আপনার চোখ থাকবে তরতাজা। বেরোবে না জল।