Career Tips: নেশাকেই পেশায় পরিণত করুন! উন্নতি শিখরে পৌঁছতে সময় লাগবে না, জেনে নিন এই টিপস
- Published by:Sanchari Kar
- hyperlocal
- Reported by:Suman Saha
Last Updated:
নেশাকে পেশায় রুপান্তরের আগে কয়েকটি ধাপে নিজেকে তৈরি করে নিন।
advertisement
এক কালে লোকের ধারণা ছিল ছবি আঁকা নেশা হতে পারে, কিন্তু তা থেকে অর্থের যোগান আসবে বলে ভাবাটা ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর তাতে সম্মানও নেই। সম্মান আছে কেবল ডাক্তারি আর ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায়। ধারণাগুলোর পরিবর্তন হয়েছে এখন অনেকটাই। এইম ইন লাইফ ঠিক করতে গিয়ে এখন অনেকেই সাহস করে বেছে নিচ্ছেন ফোটোগ্রাফি, পেইন্টিং, মিউজিক কিংবা লেখালেখির মত বিষয়গুলোকে। তবে শখ বা নেশাকেই পেশা হিসাবে বেছে নেবেন।
advertisement
কেরিয়ার শুরু করার আগে একটি নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি করুন। সব ক্ষেত্রে তা হয়তো লাগবেও না। কিন্তু কর্মজীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তৈরি করে নিয়ে প্রস্তুত থাকার কোনও জুড়ি নেই। বুদ্ধিমান মাত্রই তা করে থাকে। আর তাছাড়া একটি ভাল পরিকল্পনা আসলে অচেনা পথের নির্দেশনার মতৌই কাজ করে অনেকটা। তবে পরিকল্পনা খুব বড় করতে যাবেন না যেন। ভজঘট পাকিয়ে সময় নষ্ট হবে তাতে। বরং ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে এগোন।
advertisement
শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। একা পথ চলা শুধু কঠিন নয়, খানিক বোকামিও। আর কেরিয়ারের ক্ষেত্রে ভাল সম্পর্ক, কার্যকরী নেটওয়ার্ক এসবের গুরুত্ব সব সময়েই ছিল, আছে আর থাকবেও। সব কিছু একা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়ে না থাকলে সহযোগী ঠিক করুন। তা নাহলে আউটসোর্সও করতে পারেন। আজকাল অনেকেই ফ্রিল্যান্সে কাজ করে। তাদের মধ্য থেকেই সুদক্ষ কাউকে বেছে নিন। শ্রম লাঘব হবে, কাজেও গতি আসবে।
advertisement
ভালবাসার কাজটিকে পেশায় পরিণত করে পথ চলা যখন শুরু করবেন। কাজকে তখন আর কাজ বলে মনেই হবে না। সমস্ত মন-প্রাণ, শক্তি দিয়ে কাজ করতে করতে ক্লান্তি চলে এলেও তা মন মানতে চাইবে কেন? কিন্তু তা যে মানতেই হবে! অবশ্যই বিরতি নিয়ে কাজ করবেন। টানা খাটনি দিতে গিয়ে সুস্থতা হারিয়ে ফেলবেন না যেন। ভবিষ্যতের জন্য তা সমস্যাই সৃষ্টি করবে। বরং কাজেই বিশ্রাম নিয়ে ঠান্ডা মাথায় সুস্থ শরীরে মন দিয়ে কাজ করুন।
advertisement
ইতিহাস ঘেটে আপনার পুর্বসূরিদের সম্পর্কে জেনে নিন। জেনে নিন তারা কীভাবে জয় করেছেন নিজেদের স্বপ্নকে। সে অনুপ্রেরণাগুলোকে জড়ো করে নিজেকে উজার করে দিন আজই। সাফল্য ধরা দেবেই। হাজারটা অনুৎসাহকে পেছনে ফেলে আপনাকে সামনে ঠেলে দিতে একটি অনুপ্রেরণার গল্পই যথেষ্ট। মনটাকে তৈরি করে কাজে ঝাপিয়ে পড়ুন। সুদিন খুব বেশি দূরে নয়।