ঘরে ঘরেই আরশোলার উৎপাত। বিশেষ করে রান্নাঘরে গেলেই দেখা মিলবে ছোট-বড় আরশোলার। বিরক্তি-ভয় সব মিলিয়ে রীতিমতো একটা গা-ঘিনঘিনে ব্যাপার! পেস্ট কন্ট্রোল করিয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু পেস্ট কন্ট্রোল বিষয়টা বেশ বিষাক্তই! তবে ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে, যা দিয়ে দূর করা যায় আরশোলা। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই ঘরোয়া উপাদানগুলি কিন্তু অনেকটাই নিরাপদ। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব ঘরোয়া উপাদানের বিষয়ে।
চিনি ও বোরাক্স: আরশোলার উপদ্রব কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর বোরাক্স। আসলে এই উপাদান আরশোলার এক্সোস্কেলেটন ধীরে ধীরে শুষ্ক করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়ে পরিপাক তন্ত্রের উপর। সব শেষে মৃত্যু হয় আরশোলার। এই কারণে ৩:১ অনুপাতে বোরাক্সের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর যে স্থানে আরশোলার উপদ্রব বেশি, সেই সব স্থানে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
পিপারমিন্ট অয়েল: পিপারমিন্ট অয়েল পেস্ট কন্ট্রোল হিসেবে দারুন কাজ করে। আরশোলার উপদ্রব প্রতিরোধ করার জন্য এটা কার্যকরীও বটে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এটা সবার ক্ষেত্রেই নিরাপদ। বিশেষজ্ঞের মতে, এক চতুর্থাংশ কাপ জলে ১৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট তেল মিশিয়ে নিতে হবে। যেখানে আরশোলার উৎপাত, সেখানে এই মিশ্রণ ছিটিয়ে দিতে হবে।
বোরিক অ্যাসিড: এটাই সবথেকে ভাল উপায়। সমপরিমাণ ময়দা, চিনি ও বোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে মণ্ড বানিয়ে নিতে হবে। এর পর ওই মণ্ডগুলি আরশোলা উপদ্রুত স্থানে ছড়িয়ে রাখতে হবে। খেতে গেলেই মরবে আরশোলা। তবে হ্যাঁ এটা কিন্তু পোষ্য এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখা উচিত। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)