High Blood Sugar Control Tips: এক তিরে দুই শিকার! সস্তার এই শাকেই সুগার-কোলেস্টেরল উপড়ে ফেলবে! বাড়বে ত্বকের জেল্লা

হাওড়া: কাঁটাযুক্ত এই গাছে রয়েছে মোহৌষধি গুন! এমন ঔষধি গুন জানলে চমকে যাবেন অনেকেই। রাস্তার পার্শ্ববর্তী অনাবাদি ফাঁকা জমিতে বেশি দেখা যায় এই গাছ । এই গাছ কাটাযুক্ত হওয়ায় দেখলেই নিধন করে দেন মানুষ। কিন্তু এই গাছে রয়েছে অসম্ভব উপকারী গুণ। চামড়ার সমস্যা থেকে মহিলাদের জটিল সমস্যা দূর করতে পারে এই গাছ। খুব সহজ ব্যবহারের উপায়।

সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে হাতে হাতে ফল পাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। গ্রামের গঞ্জে রাস্তার পার্শ্ববর্তীতে অনাদরে বহু গাছ গাছড়া জন্মায় যাদের অধিকাংশ আগাছা বলেই মনে করেন অনেকে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, এ পৃথিবীতে প্রতিটি গাছ পাতায় রয়েছে ঔষুধি গুন। উপকারী গুণ ছাড়া কোন ছত্রাক বা কোন গাছ নেই বলেই জানা যায়। গাছ পাতার ব্যবহার কম করার ফলে ক্রমশ এদের উপকারি সম্পর্কে ধারণা কমছে মানুষের। উপকারী গুণ জানা থাকলে খুব সহজে জটিল সমস্যা দূর করা যেতে পারে এই গাছ পাতা ব্যবহার করে।সেই রকম একটি উপকারী গুনে ভরপুর গাছ হল কাঁটানোটে।

নোটে মানুষের খুব পরিচিত একটি শাক। সুস্বাদ নোটের শাক বিভিন্ন রকম ছোট বড় এবং ভিন্ন রঙের হয়। সবুজের পাশাপাশি লাল রঙেরও হয়। চাঁপা, কাটোয়া এবং লাল নোটে শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগেকার দিনের গ্রামের মানুষের কাছে এই নোটে শাকের সঙ্গে আরও এক রকমের নোটে শাক খাওয়ার চল ছিল।

যে শাক নোটে গাছের মত একই রকম দেখতে। যার কান্ড ও শাখা প্রশাখায় অসংখ্য কাঁটা দেখা যায়। অযত্নে প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা এই গাছের পাতা এবং কচি কান্ড খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হত বলেও শোনা যায়। তবে বর্তমানে এই শাক খাবার চল নেই। এই গাছ দেখলে উপরে ফেলে দেন মানুষ। কিন্তু এই কাঁটানোটে অসম্ভব উপকারী গুণেভরা।

কাঁটানোটে গাছের পাতা কান্ড এবং শিকড় ভেষজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান সময়ে খুব সামান্য অংশের মানুষ ব্যবহার করে এই গাছ। গাছের পাতা শুকিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে খোশ পাঁচড়ার মত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী। এছাড়াও কাঁটা নোটে গাছের কচি পাতা ও কান্ড বেটে ফোঁড়া ও বাগিতে লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সৌরেন্দু শেখর বিশ্বাস জানান, কাটানোটে অসম্ভব উপকারী গুণে ভরা। যে সমস্ত মহিলার ঘন ঘন গর্ভপাত ঘটে সেই সমস্যা দূর দারুন কার্যকর এই কাঁটানোটে। এই গাছের শিকড় ফুঁটিয়ে সেই জল নিয়মিত কয়েকদিন খেলে সমস্যা দূর হবে, উপকার পাওয়া যেতে পারে। সঠিক উপকার পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি। (তথ্য- রাকেশ মাইতি)