Adenovirus || Popcorn Lung: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মাঝেই নতুন চিন্তা 'পপকর্ন লাং! বাচ্চাদের সামলে, জেনে রাখুন উপসর্গ

শহরে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের দুটি সরকারি হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্য়ু। বুধবার সকালে দুই শিশুমৃত্যুর খবর আসে বি সি রায় হাসপাতাল থেকে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও মৃত্যু হয় ২ শিশুর।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন। ভয় পাবেন না। বরং সতর্ক হোন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে উঠছেন অনেকেই। তবে তারপরেও অবশ্য থেকে যাচ্ছে চিন্তার কারণ। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ সেরে গেলেই হল না। এই সংক্রমণ রীতিমতো কাবু করে দিচ্ছে রোগীর ফুসফুসকে। তৈরি হচ্ছে 'পপকর্ন লাং'-এর মতো পরিস্থিতি।

অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পেই 'পপকর্ন লাঙ'-এর ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে শিশুদের। এই রোগে তারাই আক্রান্ত হচ্ছে, যারা কিছুদিন আগেই অ্য়াডিনোর সংক্রমণ থেকে সেরে উঠছে।

চিকি‍ৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, ছুটি পাওয়ার কয়েকদিন পরেই ফের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাদের ফিরতে হচ্ছে হাসপাতালে।

ফুসফসের সিটি স্ক্যান করে দেখা যাচ্ছে। ফুসফুসের ছোট ছোট প্রকোষ্ঠগুলো সংক্রমণের ফলে পপকর্নের মতো ফুলে উঠছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম 'পোস্ট ইনফেকশন ব্রঙ্কিওলাইটিস অবলিটারেন্স' বা পিবো। চলতি ভাষায়, 'পপকর্ন লাং'।

পপকর্ন লাং-এ অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের আদানপ্রদান ব্যাহত হয়। ফলে শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। শৈশব তো বটেই কৈশোর পর্যন্ত থেকে যেতে পারে এই রোগের সুদূরপ্রসারী প্রভাব।

শ্বাসকষ্ট কমলেও থাকে কাশি। বুকে সাঁইসাঁই আওয়াজ। সঙ্গে হাল্কা শ্বাসকষ্ট।

প্রথমে অক্সিজেন থেরাপি ও নেবুলাইজেশন। পরে ইনহেলার থেরাপিই মূল চিকিৎসা।