শরীরে ক্ষিদের মাত্রা নির্ণয় করে লেপটিন। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি লেপটিন প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করে। পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরও ক্ষিদে থেকে যায়। ফলে, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাওয়ার প্রবণতা তেরি হয়। চিনিতে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। চিনি ক্ষয়কারী ব্যাকটিরিয়াকে সজীব রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খনিজ পদার্থের কার্যকারিতা কমে যায়।
বেশি নুন খেলে যা ক্ষতি, বেশি চিনি খেলে ক্ষতি তার চেয়ে ঢের বেশি৷ চিনির উপস্থিতিতে নুনের ক্ষতি করার ক্ষমতা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সিগারেটের চেয়েও চিনি বেশি ক্ষতিকর৷ লো–ফ্যাট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার ব্রাত্য হওয়ার অন্যতম কারণ, অতিরিক্ত চিনি৷ চিনির আসক্তি যত তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠা যায়, ততই মঙ্গল৷
চিনির গ্লুকোজ শরীর শোষণ করে নেয়। কিন্তু পরিষোধিত চিনিতে ফ্রুকটোজ বেশি থাকে। ফ্রুকটোজকে একমাত্র পরিশোধন করতে পারে লিভার। লিভারে গিয়ে এই ফ্রুকটোজ চর্বিতে পরিণত হয়। ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, বেশি চিনি খেলে লিভার অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়। ফলে লিভারে জটিলতা তৈরি হয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কমে যায় ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা।