Anger Problem: ক্ষণে ক্ষণেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন? রাগের সম্ভাব্য কারণ জানলেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব!
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
জেনে নেওয়া যাক, আমাদের রাগ হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলি, তা হলে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে৷ (Anger Problem)
অনেক সময় দেখা যায়, অল্পতেই আমরা বার বার প্রচণ্ড রেগে যাচ্ছি (Anger Problem)! আর রেগে গেলেই চেঁচামেচি শুরু করে দিচ্ছি (Anger Problem)! রাগ (Anger) নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও সে রকম লাভ হচ্ছে না! কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা হলে বুঝে উঠতে পারছি না, এমন কেন হচ্ছে (Anger Problem)! আসলে এর পিছনে দায়ী আমাদের জীবনযাপনের ধরন৷ ব্যাপারটা আর একটু ভেঙে বলি, আমরা সারা দিন কাজের জন্য ছোটাছুটি করি৷ অফিসের পাহাড়প্রমাণ কাজের চাপ, ঘরকন্নার কাজ- এ সবের কারণে আমাদের মনে চাপ, উত্তেজনা আসতে থাকে৷ ফলে ঘর আর বাইরের সব কিছু সামলাতে গিয়ে আমরা ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ হারাতে থাকি৷ যাঁরা অল্পেতেই রেগে যান, এটা শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি যাঁরা এমনিতে ঠাণ্ডা মাথার মানুষ, তাঁদের ক্ষেত্রেও হামেশাই হতে থাকে৷ যদিও রাগ আমাদের অনুভূতিরই একটা অংশ, তবে রাগ কিন্তু সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর হয় না৷ অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভিতরের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়৷ অতএব জেনে নেওয়া যাক, আমাদের রাগ হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলি, তা হলে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে৷
advertisement
গণ্ডি টানতে না-পারা: আসলে প্রতিটা সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একটা নির্দিষ্ট গণ্ডি থাকা উচিত৷ অনেক সময় যেটা আমরা বজায় রাখি না৷ তার ফলে অন্যেরা ভেবে নেন যে, কোনও কাজেই আমরা কখনওই না বলব না৷ তাই তাঁরা সুযোগ বুঝে আমাদের উপর সহজেই একটার পর একটা কাজের বোঝা চাপিয়ে দিতে থাকেন৷ আর যে হেতু আমরা কোনও কাজের ক্ষেত্রেই ‘না’ বলতে পারি না, তাই তখনই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়৷
advertisement
অবহেলিত হওয়া: প্রতিটা মানুষই তাঁদের কাছের মানুষদের থেকে সময় আর ভালোবাসা চায়৷ কিন্তু সেটা না-পেলেই নিজেকে অবহেলিত বলেই মনে হতে থাকে৷ আবার অনেক সময় আমরা কাছের মানুষদের কাছে নিজেদের ভাবনা-চিন্তা অথবা মতামত শেয়ার করি, কিন্তু দেখা গেল, সেই মানুষগুলি তার কোনও পরোয়াই করল না৷ সেই সময় আমাদের রাগ হতে বাধ্য৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়: মানসিক ও শারীরিক কারণেও আমরা কখনও কখনও মেজাজ হারাতে পারি৷ অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (ADHD), বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার (BPD), প্রিমেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার (PMDD)-সহ আরও নানা কারণে মেজাজ খারাপ হতে পারে৷ আর এমন পরিস্থিতিতে পড়লে অবশ্যই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া উচিত৷