লেবুর রস- লেবু ত্বকের পিএইচ-এর মাত্রা কমায়, ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া ধবংস হয়ে যায়। একটা লেবু অর্ধেক কেটে বাহুমূলে ঘষে নিন। প্রাকৃতিক ডিওডোর্যান্ট-এর কাজ করে! কিংবা, পাতি লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে বাহুমূলে লাগান। দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অথবা, ২ টেবিল-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ ভুট্টার গুঁড়ো মিশিয়ে বাহুমূলে লাগিয়ে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন! দূর্গন্ধ গায়েব!
Photo Source: Collected
বেকিং সোডা- ঘাম শুষে পিএইচ-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি কমায় ফলে ঘামে দূর্গন্ধ হয় না। বাহুমূল, হাঁটুর পিছনের অংশ এবং পায়ের আঙুলে পাউডারের মতো করে বেকিং সোডা লাগান। বাড়তি ঘাম শুষে নেবে। পায়ের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে-- সারা রাত জুতোর ভিতর বেকিং সোডা ছিটিয়ে রেখে, সকালে পরার আগে ঝেড়ে ফেলুন। বেকিং সোডা আর্দ্রতা শুষে দুর্গন্ধ দূর করবে। অথবা, এক কাপ জলে ২ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। ঘাম বেশি হয় এমন স্থানে মিশ্রনটি রোজ স্প্রে করুন। তবে, স্প্রে করার পর, শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে পরিষ্কার করে নেবেন! এতে কাপড়ে দাগ পড়বে না । কিংবা দু'ভাগ বেকিং সোডা এবং একভাগ ভুট্টার গুঁড়ো মিশিয়ে বাহুমূল ও পায়ে ছিটিয়ে নিন, ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে। এক টেবিল-চামচ বেকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে বাহুমূল, কুচকি ও পায়ে লাগিয়ে, পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেও ভাল ফল মেলে!
Photo Source: Collected
ভিনিগার- ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাদা ও অ্যাপল সিডার ভিনিগার দুই-ই এক্সপার্ট! ত্বকের পিএইচ পরিবর্তন করে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। শরীরের যে- যে জায়গায় বেশি ঘাম হয়, সেখানে ভিনিগার লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অথবা ২ টেবিল-চামচ ভিনিগার,কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট বা রোজমেরির তেল এক কাপ জলে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটি প্রাকৃতিক ডিওডোর্যান্ট !
Photo Source: Collected