Winter Dehydration Effects: শীতে তেষ্টা কম পায়, কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি বড়সড় বিপদ ডাকতে পারে!
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
শীতকালে এমনিই তাপমাত্রা থাকে বেশ কম। এমনিও শরীর শুষ্ক থাকে (Winter Dehydration Effects)।
জলের আরেক নাম জীবন। একদিন খাবার না খেলেও বাঁচা যায়, কিন্তু একদিন জল না পান করলে ভাবাই যায় না। শীতকালে জলের তেষ্টা আসলে অনেকেই বুঝতে পারেন না। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। শীতকালে এমনিই তাপমাত্রা থাকে বেশ কম। এমনিও শরীর শুষ্ক থাকে (Winter Dehydration Effects)। তাই ভালোমন্দ খাবার পর পর খেলেও অনেকে জল খাওয়ার কথা ভুলে যান (Winter Dehydration Effects)। আর খেলেও সেই পরিমাণ থাকে খুবই কম। আর সেখানেই হয় বিপত্তি। শীতকালে শরীরে জলের ঘাটতি কিন্তু বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে (Winter Dehydration Effects)।
advertisement
কোষ্ঠকাঠিন্য- প্রায়শই কি আপনার এই সমস্যা হয়? তাহলে প্রথমেই বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যেস করুন। কোলন জল শোষণ করে এবং তা শরীরের কঠিন বর্জ্য জমা রাখার প্রধান স্থান। তাই আপনি জল কম খেলেই তা মল থেকেও জল শোষণ করে নেবে। ফলে মল হয়ে পড়বে কঠিন, তা শরীর থেকে বেরনোর সময়েও সমস্যা হবে। জল খান বেশি করে, তাতে হজম ভালো হবে, মল নরম থাকবে।
advertisement
advertisement
মাথা ধরা ও ক্লান্তিভাব- শীতকালে আমরা সবাই প্রায়শই বলি মাথা ধরে আছে। সেই সঙ্গে শরীরও বেশ ক্লান্ত। অনেকেই তখন ভাবেন এসব বোধহয় ঠান্ডায় ঘোরাঘুরি করার ফল। কিন্তু এগুলো হচ্ছে শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে তার প্রথম লক্ষণ। এর সঙ্গে চোখ ব্যথা, শরীরে অস্বস্তি এসব থাকেই। আবার মর্নিং ওয়াকে গিয়ে অনেকে দেখেন যে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন। অর্থাৎ আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
advertisement
মূত্রে সমস্যা- শরীরে যদি জলের ভাগ কমে যায় তাহলে মূত্রত্যাগেও সমস্যা হবে। ওই সময়ে জ্বালাভাব, কোমরে ব্যথা অস্বস্তি এসব থাকেই। এছাড়াও মূত্রস্থান শুকিয়ে যায়। ফলে সারাক্ষণ একটা চুলকুনির ভাব থেকেই যায়। এখান থেকেই হয় নানা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তাই এরকম হলে যেমন জল বেশি খাবেন তেমনই ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
advertisement
advertisement
মুখে দুর্গন্ধ- সকালে ঘুম থেকে উঠলেই মুখে দুর্গন্ধ? স্যালাইভা তৈরিতে ও মুখের মধ্যে জমে ওঠা ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে জলের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জল কম খেলে কম লালা তৈরি হবে, মুখের মধ্যে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া জমে উঠবে জিভে, দাঁতে, মাড়িতে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাই এই সমস্যা এড়াতে দিনে অন্তত ৫ লিটার জল খান।
advertisement