GI Sepsis: এই রোগে আক্রান্ত হলে একসঙ্গে আক্রমণ করে কিডনি, মস্তিষ্ক, হার্ট, জিআই সেপসিসে আক্রান্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কী হয় এই রোগে
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Mainak Debnath
Last Updated:
GI Sepsis or Gastrointestinal Sepsis: জটিল রোগে আক্রান্ত প্রাক্তন বিচারপতি, বর্তমানের বিজেপির সাংসদের কী অবস্থা, কীভাবে হয় এই অসুখ কী করে সাবধান! জানুন চিকিৎসকের মতামত৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কীকরে হয় এই রোগ: চিকিৎসক সুভাষ বাবু জানান, এই রোগ তখনই হয় যখন কোন সংক্রমণ শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয় না তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সংক্রমণ ছড়ালে তাতে সব থেকে বেশি দেহে প্রভাব পড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়। সচরাচর শরীরে কোন রোগ হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধশক্তি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় কিন্তু এক্ষেত্রে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়, রোগ প্রতিরোধশক্তি উল্টে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যা রোগীর জন্য সংকটজনক। সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
advertisement
কীভাবে হয় এই রোগ: চিকিৎসক জানাচ্ছেন, এই রোগের সংক্রমণ নানাভাবে হতে পারে কারওক্ষেত্রে জীবাণু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ঢুকতে পারে। কারওক্ষেত্রে আবার খাদ্যনালী থেকেও প্রবেশ করতে পারে তবে গ্যাস্ট্রোইনটেষ্টাইনাল সেপসিস তখনই বলা হবে যখন জীবাণু খাদ্যনালী বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাকের মাধ্যমে শরীরে ঢুকবে এবং তার থেকে অন্ত্রের যেকোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়াবে।
advertisement
তবে শরীরের সেই জীবাণু ঢুকলেই যে সেপসিস হবে এমন কিন্তু নয়, অনেকের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া বমি ইত্যাদি হওয়ার পরে তা সেরেও যায় আবার কারওক্ষেত্রে দেখা যায় সংক্রমণ এতটাই ছড়াচ্ছে যে তা মস্তিষ্ক কিডনি হার্টের সঙ্গে জুড়ে থাকা ধমনী গুলি কেউ নষ্ট করে দিচ্ছে সেরকম হলে মাল্টি অর্গান ফেলিওরও হতে পারে এমনকি শরীরে জলের অভাব হলে কিডনি বিকল পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার ফলেও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
advertisement
সতর্ক কীকরে হওয়া যাবে: কৃষকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন সতর্ক হওয়ার জন্য সবার আগে নিজের শরীরের ক্ষমতা সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। যাদের বয়স ষাটের বেশি বা যারা ইতিমধ্যেই অন্য কোন রোগে আক্রান্ত রয়েছেন কিংবা যাদের ক্যান্সার রয়েছে কেমোথেরাপি চলছে তাদের বাড়তি সতর্ক এক্ষেত্রে হওয়া দরকার। কারণ এদের শারীরিক অসুস্থতা দুর্বলতার কারণে এমনিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।
advertisement
এক্ষেত্রে সচেতন ভাবে খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি অর্থাৎ বাইরের যা খুশি তাই খাওয়া চলবে না যেখানে সেখানে জল পান করা কাটা ফল খাওয়া ইত্যাদি না করাই ভালবলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকেরা এও জানান সেপসিসের অসুখ ছয় ঘন্টার মধ্যে মারাত্মক আকার নিতে শুরু করতে পারে সেই কারণে রোগী সবসময় বেশি সময় পান না তাই ভালথাকতে আগে থেকেই নিজেকে সচেতন হওয়াই জরুরী। Input- Mainak Debnath