মুখের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে কফিও, আর কোন কোন খাবার থেকে এই সমস্যা হয় ?

Last Updated:
প্রতি দিন আমরা এমন কিছু সবজি বা খাবার খাই, যা মুখে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে থাকে
1/6
অফিস হোক বা স্কুল কলেজ, মুখ থেকে খারাপ গন্ধ বেরোলে পরিবার, আত্মীয়স্বজন এমনকী বন্ধুদের মাঝেও অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। এই সমস্যাটি মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত করে। অনেকে বার বার ব্রাশ করেও কোনও ফল পান না। এক্ষেত্রে সবার আগে কিছু খাবার ও তার রান্নার পদ্ধতির দিকে নজর দিতে হবে। প্রতি দিন আমরা এমন কিছু সবজি বা খাবার খাই, যা মুখে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে থাকে। এবার দেখে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধের পিছনে কোন খাবারগুলি দায়ী!
অফিস হোক বা স্কুল কলেজ, মুখ থেকে খারাপ গন্ধ বেরোলে পরিবার, আত্মীয়স্বজন এমনকী বন্ধুদের মাঝেও অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। এই সমস্যাটি মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত করে। অনেকে বার বার ব্রাশ করেও কোনও ফল পান না। এক্ষেত্রে সবার আগে কিছু খাবার ও তার রান্নার পদ্ধতির দিকে নজর দিতে হবে। প্রতি দিন আমরা এমন কিছু সবজি বা খাবার খাই, যা মুখে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে থাকে। এবার দেখে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধের পিছনে কোন খাবারগুলি দায়ী!
advertisement
2/6
মাছ ও মাংস - মাছ-মাংস খেলেও মুখে গন্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। আসলে পাকস্থলীতে কয়েকটি অ্যাসিড ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মাছ ও মাংসজাত প্রোটিনকে অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে দেয়। এর জেরে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। বলা বাহুল্য অ্যামোনিয়ার গন্ধ অত্যন্ত ঝাঁঝালো ও তীব্র। এই অ্যামোনিয়াই পরে রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়। আর মুখের মাধ্যমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তবে নানা ধরনের মশলা, ভিনিগার ও তেল দিয়ে মাছ-মাংস রান্না করলে কিছুটা হলেও এই গন্ধ কমানো যায়।
মাছ ও মাংস - মাছ-মাংস খেলেও মুখে গন্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। আসলে পাকস্থলীতে কয়েকটি অ্যাসিড ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মাছ ও মাংসজাত প্রোটিনকে অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে দেয়। এর জেরে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। বলা বাহুল্য অ্যামোনিয়ার গন্ধ অত্যন্ত ঝাঁঝালো ও তীব্র। এই অ্যামোনিয়াই পরে রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়। আর মুখের মাধ্যমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তবে নানা ধরনের মশলা, ভিনিগার ও তেল দিয়ে মাছ-মাংস রান্না করলে কিছুটা হলেও এই গন্ধ কমানো যায়।
advertisement
3/6
রসুন - এটি অত্যন্ত উপকারী। তবে রসুনের মধ্যে প্রচুর মাত্রায় সালফার যৌগ থাকে। যা রসুনের তীব্র গন্ধের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে খালি মুখে রসুনের কোয়া চিবোলে বা অধিকমাত্রায় রান্না করে খেলে মুখের দুর্গন্ধ বাড়তে পারে। কয়েকটি গবেষণাতেও একই তথ্য উঠে এসেছে। মুখে গন্ধের জন্য দায়ী থাকে রসুনে উপস্থিত অ্যালাইল মিথাইল সালফাইড (Allyl Methyl Sulphide)।
রসুন - এটি অত্যন্ত উপকারী। তবে রসুনের মধ্যে প্রচুর মাত্রায় সালফার যৌগ থাকে। যা রসুনের তীব্র গন্ধের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে খালি মুখে রসুনের কোয়া চিবোলে বা অধিকমাত্রায় রান্না করে খেলে মুখের দুর্গন্ধ বাড়তে পারে। কয়েকটি গবেষণাতেও একই তথ্য উঠে এসেছে। মুখে গন্ধের জন্য দায়ী থাকে রসুনে উপস্থিত অ্যালাইল মিথাইল সালফাইড (Allyl Methyl Sulphide)।
advertisement
4/6
পেঁয়াজ - একই গোত্র অর্থাৎ অ্যালিয়াম (Allium) প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত পেঁয়াজ ও রসুন। রসুনের মতো পেঁয়াজেও নানা ধরনের সালফিউরিক যৌগ থাকে। ফলে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ রান্না করে খেলে কিছুটা হলেও এই গন্ধ কমানো যায়। কারণ জল, তেল, মশলা বা ভিনিগারে মিশিয়ে পেঁয়াজ রান্না করলে এই সবজির গন্ধ খানিকটা প্রশমিত হয়।
পেঁয়াজ - একই গোত্র অর্থাৎ অ্যালিয়াম (Allium) প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত পেঁয়াজ ও রসুন। রসুনের মতো পেঁয়াজেও নানা ধরনের সালফিউরিক যৌগ থাকে। ফলে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ রান্না করে খেলে কিছুটা হলেও এই গন্ধ কমানো যায়। কারণ জল, তেল, মশলা বা ভিনিগারে মিশিয়ে পেঁয়াজ রান্না করলে এই সবজির গন্ধ খানিকটা প্রশমিত হয়।
advertisement
5/6
দুগ্ধজাত দ্রব্য - দুধ, পনির বা এই জাতীয় দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করলেও মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে। কারণ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino Acid) থাকে। পরে এই অ্যাসিড চেইন ভেঙে গিয়ে নানা ধরনের সালফার যৌগ তৈরি করে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য - দুধ, পনির বা এই জাতীয় দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ করলেও মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে। কারণ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino Acid) থাকে। পরে এই অ্যাসিড চেইন ভেঙে গিয়ে নানা ধরনের সালফার যৌগ তৈরি করে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
advertisement
6/6
কফি - অনেকেই নানা সংস্থায় কর্মরত বা অধিকাংশ সময়ে ডেস্কে কাজ করে কাটান। আর এই কাজের মাঝেই দিনে প্রায় চার-পাঁচ কাপ কফি হয়ে যায়। অনেক সময় ঘুম কাটাতে বা ক্লান্তি দূর করতেও কফি পান করা হয়। কিন্তু কফি খেলে মুখে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ কফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সালফার যৌগ বিশেষ করে ক্যাফেইন থাকে। যা মুখের লালা শুকিয়ে দেয়। ফলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এর জেরে মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।
কফি - অনেকেই নানা সংস্থায় কর্মরত বা অধিকাংশ সময়ে ডেস্কে কাজ করে কাটান। আর এই কাজের মাঝেই দিনে প্রায় চার-পাঁচ কাপ কফি হয়ে যায়। অনেক সময় ঘুম কাটাতে বা ক্লান্তি দূর করতেও কফি পান করা হয়। কিন্তু কফি খেলে মুখে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ কফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সালফার যৌগ বিশেষ করে ক্যাফেইন থাকে। যা মুখের লালা শুকিয়ে দেয়। ফলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এর জেরে মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।
advertisement
advertisement
advertisement