ভিটামিন, প্রোটিনের 'রাজা'...! শীতকালে স্যামন-সহ ৫ মাছ খাওয়া মাস্ট, 'তিন' নম্বরটি খুবই চেনা! বাজারে ছুটুন, মিস করবেন না যেন!

শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ডায়েটে সেইসব খাবার যোগ করতে শুরু করেন যা উষ্ণতা, শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহকারী হিসেবে দুর্দান্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। মাছ হল সেই খাবার যা এই সব কিছু এক আশ্চর্য সোর্স।

মাছকে শীতের সবচেয়ে উপযুক্ত খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরকে শক্তিশালী করে এবং সারা দিন শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে শীতকালীন বিশেষ কিছু মাছ। এই কারণেই শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিশেষ মাছের বিক্রি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং নদীর টাটকা জলের মাছ মৎস্যপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

শীতকালে মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। কিন্তু এর মধ্যেও বাজারে অনেক ধরণের মাছ পাওয়া যায়। যদি আপনি ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে এই ঋতুতে স্যামন মাছ খাওয়া শুরু করুন। এই মাছ ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ডি এর একটি চমৎকার উৎস, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী।

বাজারে অনেক ধরণের মাছ পাওয়া গেলেও, আরও একটি মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তা হল টুনা মাছ। এই মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ম্যাকারেল: যদি আপনি আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে চান তাহলে ম্যাকেরেল মাছ খাওয়া শুরু করুন। এই মাছ শীতকালে আপনার হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। ম্যাকারেল মাছটি ওমেগা-৩ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।

কড ফিশ: যদি আপনিও সুস্বাদু মাছ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে বাড়িতেই এই কড ফিশ তৈরি করুন। এই মাছটি স্টু এবং স্যুপের মতো খাবারে ব্যবহৃত হয়। তাই, এটি একটি খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাছ হিসাবেও বিবেচিত হয়।

আরও একটি মাছ হল রুই মাছ। বাজারে রুই মাছ সহজেই পাওয়া যায় এবং মানুষ এটি খেতে খুব পছন্দ করে। শীতকালে এই মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই মাছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড় সুস্থ রাখে।

বিক্রির দিক থেকে, লিবিও রোহিতা বা রুই মাছ এখনও বাজারের চলতি মাছের রাজা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। রুইয়ের পরেই কাতলা এই অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত মাছ। এই দুই মাছের স্বাদ, নরম মাংস এবং উচ্চ পুষ্টির কারণে এগুলি সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী।

পশু চিকিৎসক ডঃ বৃহস্পতি ভারতী তাঁর পরামর্শে ব্যাখ্যা করেন, শীতকালে মাছ চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে বাজারে কিছু মাছের সরবরাহ অত্যন্ত ভাল হয়।

তাঁর কথায়, "কৃষক এবং জেলেরা এই ঋতুকে মাছ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল ও সেরা বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন যে শীতকালে মাছের খাদ্যের ব্যবহারও হ্রাস পায়, যার ফলে উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বাজারে ভাল দামে টাটকা মাছ পাওয়া যায়।

ডঃ ভারতী তাঁর পরামর্শে ব্যাখ্যা করেন, উপরোক্ত মাছগুলি ছাড়াও গ্রামীণ এলাকায়, ক্যাটফিশ, পাম, পাহিন এবং সিঙ্গি মাছের চাহিদা বেশি থাকে কারণ এই মাছগুলি রান্না করা সহজ এবং দুর্দান্ত স্বাদের জন্য খুবই জনপ্রিয়। তবে, কেউ কেউ খাওয়ার সুবিধা আছে বলে উপরোক্ত এক কাটার কম কাটাযুক্ত মাছই বেশি পছন্দ করেন।

শীতকালে শক্তি এবং পুষ্টির নিখুঁত সামঞ্জস্য থাকে কিছু মাছে:বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে মাছ খাওয়া শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এই আমিষ খাবার ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করে শরীরের ফিটনেস বজায় রাখে। এই কারণেই মাছ প্রতিটি পরিবারের শীতকালীন খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।

ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।