Fish: স্বাদে ইলিশকে টেক্কা দেয় এই মাছ! প্রোটিন-ক্যালসিয়ামে ঠাঁসা নদীয়ালি এই মাছেই সুস্থ হার্ট-লিভার-কিডনি!

আলিপুরদুয়ার জেলার সবচাইতে কাছের নদীয়ালি মাছ এলং। এই মাছের নামেই এবারে সমর্পিত হতে চলেছে একটি উৎসব।যার আয়োজন হয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। (তথ্য- অনন্যা দে)

এলং-বোরোলি উৎসব পর্যটকদের মনে দাগ কেটে যাবে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এই উৎসবের মাধ্যমে নদী সংরক্ষণের বার্তা দেওয়া হবে।পাশাপাশি নদী সংরক্ষণ নিয়ে নিজেদের মতামত পেশ করার স্বাধীনতা পাবেন পর্যটকরা।

আলিপুরদুয়ার জেলায় রয়েছে তোর্ষা, মুজনাই, রায়ডাকের মত নদী। এই নদীর মাছ এলং। যা স্বাদে অতুলনীয়। ভোজন রসিকদের কথায় কেউ যদি একবার এলং মাছের ঝোল খেয়ে নেয় সে বোরোলির দিকে ফিরেও দেখবে না। তাই এবারে এলং মাছের নামে উৎসব রাখা হয়েছে।

তবে এই উৎসবে শুধু এলং মাছের পদ থাকছে এমনটা নয়, থাকবে বোরোলির ঝাল,কুচো চিংড়ির তরকারি, গুতম মাছের ঝোল সহ নানান ছোট মাছের পদ। পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, এলং মাছ সম্পর্কে পর্যটকরা বেশি কিছু জানেন না। তারা উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে ডুয়ার্স বেড়াতে এলে নদীয়ালি মাছ হিসেবে চেনেন বোরোলি মাছকে। লাটাগুড়িতে বর্ষা এলে বোরোলি উৎসব হয়। তবে এবারে পর্যটকরা এলং মাছের সঙ্গে পরিচিত হবেন।এলং মাছ দেখতে কেমন হয় তা দেখবেন।

জলদাপাড়ার পর্যটন ব্যবসায়ী এবং এই উৎসবের আয়োজক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, "নদীর মঙ্গল কামনায় এই উৎসব। নদী বাঁচলে প্রাণ পাবে এলং মাছ। আলিপুরদুয়ার জেলার বড় আপন এই মাছ। পর্যটকদের পাতে শোভা বাড়িয়ে তুলবে এবারে এই মাছ এটাই আমাদের আশা। (তথ্য- অনন্যা দে)"

এলং এবং বোরোলি মাছ উভয়ই পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের দুর্দান্ত উৎস। তবে এদের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা তাদের অনন্য করে তোলে।

বোরোলি মাছ আকারে ছোট হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রোটিন এবং ওমেগা-৩: বোরোলি মাছ প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ক্যালসিয়াম: এর হাড়গুলি এতটাই নরম যে সেগুলি খাওয়া যায়। এর ফলে শরীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ক্ষুদ্র-পুষ্টি উপাদান (Micronutrients): বোরোলি মাছের মতো ছোট স্থানীয় মাছগুলি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এটি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পুষ্টিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

এলং মাছ (সাধারণত কুচিয়া মাছ হিসেবেও পরিচিত) তার উচ্চ পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। প্রচুর প্রোটিন: এলং মাছে প্রায় ১৮.৭% প্রোটিন থাকে, যা পেশীর গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ: এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং বি ভিটামিন যেমন B1, B2, B6, B12-এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়া এতে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজও থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য: এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।