করোনা না ডেঙ্গি! জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শরীরে ব্যথার মতো সাধারণ লক্ষণগুলো আলাদা করবেন কীভাবে?
- Published by:Sanjukta Sarkar
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Covid-19 or Dengue Sign: লক্ষণগুলো থাকলে সেটা করোনা না কি ডেঙ্গি, বোঝা যাবে কী করে?
করোনা সংক্রমণ কমলেও নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গু। জ্বর, কাশি নিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সমস্যা হল করোনা ও ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো প্রায় একই রকমের। উভয় সংক্রমণেই জ্বর, ঠান্ডা লাগা, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাহলে এই লক্ষণগুলো থাকলে সেটা করোনা না কি ডেঙ্গু, বোঝা যাবে কী করে?
advertisement
এই লক্ষণগুলো ডেঙ্গুর সঙ্গে যুক্ত: ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুযায়ী, ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণগুলি হল ক্রমাগত বমি হওয়া, মিউকোসাল রক্তপাত, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অলসতা কিংবা অস্থিরতা এবং লিভারের বৃদ্ধি।
advertisement
এই লক্ষণগুলো করোনার সঙ্গে যুক্ত: ইউএস সিডিসি অনুসারে এই উপসর্গগুলি থাকলে সেটা কোভিড সংক্রমণ হতে পারে, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ক্রমাগত ব্যথা বা চাপ, বা জেগে থাকতে না পারা, নীলাভ ঠোঁট বা মুখ। তবে এগুলোই একমাত্র লক্ষণ নয়। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির উপর নির্ভর করে একাধিক অন্যান্য উপসর্গও হতে পারে।
advertisement
কোভিড এবং ডেঙ্গুর ইনকিউবেশন পিরিয়ড আলাদা: ইনকিউবেশন পিরিয়ড মানে ভাইরাসের আক্রমণ কিংবা সংক্রমিত হওয়া এবং রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার মধ্যবর্তী সময়। ডেঙ্গুর ইনকিউবেশন সময়কাল ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে, এবং সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন। অন্য দিকে, কোভিডের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪ দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে। সাধারণত, লক্ষণগুলির সংস্পর্শে আসার পর থেকে এটি ৪ থেকে ৫ দিন সময় নেয়।
advertisement
করোনার জ্বর ডেঙ্গুর থেকে কোথায় আলাদা: জ্বরের মতো লক্ষণ নানা ভাবে প্রকাশ পায়। তা থেকে বুঝতে হয় সেটা করোনা না কি ডেঙ্গু। করোনায় হালকা থেকে মাঝারি জ্বর হয়। বাড়িতে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং হাইড্রেশনের মাধ্যমে এই জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অন্য দিকে, ডেঙ্গু সংক্রমণে জ্বর হু হু করে বাড়ে। এর জন্য অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে, ডেঙ্গুর জ্বর নামতে চায় না। কিন্তু করোনার জ্বর আসে, আবার ছেড়ে যায়।
advertisement
টেস্ট করাতে হবে: লক্ষণগুলো একই হওয়ায় অনেক সময় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও বিভ্রান্ত হন। তাই টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। চিকিৎসকরা সাধারণত করোনা এবং ডেঙ্গু দুটো পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। নিশ্চিতভাবে সংক্রমণের কারণ জানতে কিছু ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া এবং টাইফয়েড পরীক্ষা করানোর কথাও বলা হয়।
advertisement