কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর থেকেই আনন্দে মেতেছিল দেশ। তার মাঝেই ভেসে আসছিল খুব সামান্য পরিমাণে হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবরও। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ২,২৪,৩০১ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মাত্র ৪৪৭ জন, এঁদের মধ্যে আবার মাত্র তিনজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে- এই পরিসংখ্যান সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন ধর্মশীল নারায়ণ সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পালমোনারি কনসালট্যান্ট ডক্টর নবনীত সুদ। আবার শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটের মাইক্রোবায়োলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট জ্যোতি মুট্টাও মুখ খুলেছেন মানুষের শরীরে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে। তাঁদের দাবি, যাঁরা অনেক দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন, যাঁরা ওবেসিটি বা অতিরিক্ত স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন কোনও কাজ করবে না!
ডক্টর সুদ জানিয়েছেন যে ওবেসিটি একজন ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ওবেসিটি ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের দিকেও ঠেলে দেয় রোগীকে। পরিণামে তাঁদের শরীরে সাইটোকিন নামে একধরনের প্রোটিনের নিঃসরণ বেশি হয় যা কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলে দেহের পেশিগুলিকে দুর্বল করে দেয়। সব মিলিয়ে, করোনার ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ক্ষমতা আর থাকে না। সেই কারণেই ওবেসিটি যাঁদের আছে, তাঁদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তেমন ভাবে গড়ে তুলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
আবার মানসিক অবসাদ যে কোনও ব্যক্তির শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, সে কথার উল্লেখ করেছেন ডক্টর মুট্টা। ফলে, এঁদের ক্ষেত্রেও করোনার ভ্যাকসিন উপযুক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না। এছাড়া যাঁরা ক্যানসারে ভুগছেন, কিডনির অসুখে ভুগছেন, তাঁদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার দরুণ এক্ষেত্রেও করোনার ভ্যাকসিন কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।