আসলে করোনা সংক্রমণের অনেক লক্ষণের সঙ্গে সাধারণ সর্দি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণের মিল রয়েছে। সবথেকে সমস্যার বিষয় হল, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে সংক্রমণের তীব্রতা হারিয়েছে মারণ এই ভাইরাস, এখনও সে আমাদের নিস্তার দেয়নি ঠিকই, কিন্তু বর্তমানে সংকটজনকের তুলনায় মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। তাহলে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সচেতন হওয়া দরকার, জেনে নেওয়া যাক একে একে।
স্বাভাবিক সর্দি-কাশি হতে পারে
আজকাল সর্দি-কাশি হলে অনেকেই কোভিড টেস্ট করাতে চান না। সেক্ষেত্রে অসুস্থতাকে ফ্লু-এর লক্ষণ ভেবে সাধারণ ওষুধ এবং ঘরোয়া টোটকা খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে বেশি প্রভাব নাও থাকতে পারে। কিন্তু তার থেকে সংক্রামিত অন্যদের মধ্যে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।
জ্বরের ওষুধ খেলে লাভ হয়
কোভিড এবং অন্যান্য বিভিন্ন সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর। আসলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়ে বাইরের কোনও ভাইরাস প্রবেশ করলে শরীর জ্বরের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায়। অনেকেই জ্বরকে উপেক্ষা করে প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট করলে ওষুধের সঠিক ডোজ শুরু হয়ে যায় এবং তা আমাদের দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য হতে পারে।
ঠান্ডা জলের কারণে গলা ব্যথা
ঠান্ডা জল কিংবা এমন কোনও পানীয় যা সহ্যের চেয়ে বেশি ঠান্ডা, সেটি খেলে গলা ব্যথা হতে পারে। কিন্তু এই সমস্যাতেও আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ কোভিডের একটি প্রধান উপসর্গ হল গলা ব্যথা এবং কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের সময় রোগীদের মধ্যে এই লক্ষণটি খুব বেশি দেখা গিয়েছে।
ক্লান্তি আপনা-আপনি চলে যাবে
প্রায় সকল কোভিড রোগীর শরীরেই ক্লান্তি থাকে। এমনকী কোভিড সংক্রমণের পরেও দীর্ঘ দিন ক্লান্তি থাকতে পারে। যদিও ক্লান্তির অনেক শারীরিক কারণ হয়। তবে যেভাবে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং একের পর এক ভ্যারিয়েন্ট আসছে তাতে ক্লান্তি অনুভব করলে কোভিড হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিলে চলবে না।