Coriander Effect: রান্নায় বেশি বেশি ধনেপাতা খাচ্ছেন? এখনই খাওয়া বন্ধ করুন 'এঁরা', হতে পারে বড় বিপদ!

Last Updated:
Coriander Effect: জেনে নিন কাদের জন্য বিষের সমান ধনেপাতা। ১০টি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন এই পাতা বেশি খেলে।
1/15
রান্নায় ধনেপাতা দিতে কে না ভালবাসে। এর হালকা সুগন্ধ আলাদা মাত্রা আনে পদের। তাই ধনেপাতা কম বেশি সব রাধুনীরই পছন্দের। কারণ কে না জানে যে খাবারের স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতার জুড়ি নেই।
রান্নায় ধনেপাতা দিতে কে না ভালবাসে। এর হালকা সুগন্ধ আলাদা মাত্রা আনে পদের। তাই ধনেপাতা কম বেশি সব রাধুনীরই পছন্দের। কারণ কে না জানে যে খাবারের স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতার জুড়ি নেই।
advertisement
2/15
বাঙালি বা অবাঙালি এমনকি বিদেশী রান্নাতেও ধনে পাতা দেওয়ার চল আছে। শুধু তরকারি কিংবা স্যালাড বা চাট জাতীয় খাবারেই নয়, ধনেপাতা বাটাও খাওয়ার আলাদা মজা। অনেকেই ধনেপাতা পাটায় বেটে সুস্বাদু ভর্তা বানিয়েও খেয়ে থাকেন। আবার কারও কারও পছন্দের তালিকায় থাকে ধনেপাতার চাটনি।
বাঙালি বা অবাঙালি এমনকি বিদেশী রান্নাতেও ধনে পাতা দেওয়ার চল আছে। শুধু তরকারি কিংবা স্যালাড বা চাট জাতীয় খাবারেই নয়, ধনেপাতা বাটাও খাওয়ার আলাদা মজা। অনেকেই ধনেপাতা পাটায় বেটে সুস্বাদু ভর্তা বানিয়েও খেয়ে থাকেন। আবার কারও কারও পছন্দের তালিকায় থাকে ধনেপাতার চাটনি।
advertisement
3/15
ধনেপাতার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও! অতিরিক্ত ধনেপাতা গ্রহণ শরীরকে দিন দিন অসুস্থ করে তুলতেও পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি উচ্চ রক্তচাপও ঘটাতে পারে এই পাতার অতিরিক্ত সেবন। চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে কোন কোন মারাত্মক শারীরিক সমস্যা গিলে ধরতে পারে আপনাকেও।
ধনেপাতার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও! অতিরিক্ত ধনেপাতা গ্রহণ শরীরকে দিন দিন অসুস্থ করে তুলতেও পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি উচ্চ রক্তচাপও ঘটাতে পারে এই পাতার অতিরিক্ত সেবন। চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে কোন কোন মারাত্মক শারীরিক সমস্যা গিলে ধরতে পারে আপনাকেও।
advertisement
4/15
১. ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি ভাবের কারণও ঘটাতে পারে।
১. ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি ভাবের কারণও ঘটাতে পারে।
advertisement
5/15
২. ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করে ভাল বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
২. ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করে ভাল বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
advertisement
6/15
৩. অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
৩. অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
advertisement
7/15
৪. এমনকি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবন। এতে থাকা এক ধরনের তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে। এছাড়া এতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু পাকস্থলীতে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতি করে।
৪. এমনকি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবন। এতে থাকা এক ধরনের তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে। এছাড়া এতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু পাকস্থলীতে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতি করে।
advertisement
8/15
৫. আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা করে, যার ফলে ফুসফুসের সমস্যা বা অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
৫. আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা করে, যার ফলে ফুসফুসের সমস্যা বা অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
advertisement
9/15
৬. অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবন দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া কখনও কখনও হালকা মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে ধনেপাতা।
৬. অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবন দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া কখনও কখনও হালকা মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে ধনেপাতা।
advertisement
10/15
৭. সবুজ ধনেপাতাতে কিছু ঔষধিগুণ ও অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
৭. সবুজ ধনেপাতাতে কিছু ঔষধিগুণ ও অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
advertisement
11/15
৮. জেনে রাখা জরুরি, গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান নারীদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে নারীদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায়। বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
৮. জেনে রাখা জরুরি, গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান নারীদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে নারীদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায়। বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
advertisement
12/15
৯. ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জিক সমস্যা তৈরি হয়। যার জেরে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ভাব, র‍্যাশ ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
৯. ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জিক সমস্যা তৈরি হয়। যার জেরে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ভাব, র‍্যাশ ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
advertisement
13/15
১০. এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলাব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়। তাই ধনেপাতার অতিরিক্ত সেবন বর্জন করাই বাঞ্ছনীয়।
১০. এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলাব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়। তাই ধনেপাতার অতিরিক্ত সেবন বর্জন করাই বাঞ্ছনীয়।
advertisement
14/15
আইএসএসএ সার্টিফাইড বিশেষজ্ঞ ফিটনেস এক্সপার্ট ও পুষ্টিবিদ তানিয়া চৌধুরী বলেন, "ভেষজটিতে কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাবও অস্বীকার করা যায় না।
আইএসএসএ সার্টিফাইড বিশেষজ্ঞ ফিটনেস এক্সপার্ট ও পুষ্টিবিদ তানিয়া চৌধুরী বলেন, "ভেষজটিতে কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাবও অস্বীকার করা যায় না।
advertisement
15/15
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন পেটে খিঁচুনি এবং বমি, ডায়রিয়া, ত্বকের সংবেদনশীলতা, এবং আমবাত, ফোলা এবং ফুসকুড়ির মতো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে ধনেপাতা।লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনিতে পাথর হতে পারে এর অতিরিক্ত সেবনে। বুকে ব্যথার কারণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।"
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন পেটে খিঁচুনি এবং বমি, ডায়রিয়া, ত্বকের সংবেদনশীলতা, এবং আমবাত, ফোলা এবং ফুসকুড়ির মতো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে ধনেপাতা।লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনিতে পাথর হতে পারে এর অতিরিক্ত সেবনে। বুকে ব্যথার কারণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।"
advertisement
advertisement
advertisement