নীরবেই দেহে থাবা বসায় কোলেস্টেরল ! তাই কিছু উল্লেখযোগ্য উপসর্গ এবং দ্রুত প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে রাখা আবশ্যক, পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Cholesterol - Symptoms And Importance Of Early Prevention : সেই কারণে এই সমস্যাকে অনেক সময় নীরব ঘাতক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এই বিষয়ে আলোচনা করছেন টেকনো ইন্ডিয়া ডিএএমএ (Techno India DAMA Hospital) হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. এমএস পুরকাইত (Dr. MS Purkait)।
বর্তমানে মানুষের মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। আর এক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যার বিষয় হল, হাই কোলেস্টেরল বা উচ্চ কোলেস্টেরলের কোনও তেমন উল্লেখযোগ্য উপসর্গ দেখা যায় না। সেই কারণে এই সমস্যাকে অনেক সময় নীরব ঘাতক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এই বিষয়ে আলোচনা করছেন টেকনো ইন্ডিয়া ডিএএমএ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. এমএস পুরকাইত।
(Representational Image)
(Representational Image)
advertisement
তিনি জানান যে, অনেক সময় কোলেস্টেরলের কিছু সূক্ষ্ম উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল - পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, কম এনার্জির মাত্রা, মাথা ঘোরানো, পায়ে ক্র্যাম্প, বুকে অস্বস্তি ইত্যাদি। আবার কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও একটা সাধারণ উপসর্গও দেখা যায়। আসলে তাঁদের চোখ এবং গাঁট বা জয়েন্টের আশপাশে (জ্যানথোমাস) কোলেস্টেরল জমতে থাকে। চতুর্থ এবং পঞ্চম আঙুলে সংকোচনও দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও কর্নিয়াল আর্কাসের উপস্থিতিও দেখা যায়। উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে মূলত যোগ রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার এবং হাই সুগারের।
advertisement
সাধারণত বয়স তিরিশ বছর পেরিয়ে গেলেই সকলকে লিপিড প্রোফাইল করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু পরিবারে কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকলে কিন্তু তিরিশের আগেই এই রোগ দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান এবং জীবনযাপনের ধারার দিকটাও মাথায় রাখা আবশ্যক। যদি এহেন মৃদু উপসর্গও প্রকাশ পায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। আবার যেসব শিশু জাঙ্ক ফুড অথবা ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করে এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে, তাদের মধ্যেও কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা বা হরমোনাল ইমব্যালান্সও কিন্তু উচ্চ কোলস্টেরলের জন্য দায়ী। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিকঠাক রাখার জন্য নিয়মিত শারীরিক কসরত করা আবশ্যক। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিংয়ের মতো এরোবিক এক্সারসাইজ এবং অন্যান্য খেলাধূলা কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক। এর পাশাপাশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সেবনের পরিমাণ কমাতে হবে। তাহলেই ব্যাড কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ঠিকঠাক মাত্রায় রাখা সম্ভব।
advertisement
শুধু তা-ই নয়, পাতে রাখতে হবে স্যামন, ম্যাকরেলের মতো সামুদ্রিক মাছ, অ্যাভোকাডো, ড্রাগন ফল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার। আর রান্না করার সময় ব্যবহার করতে হবে অলিভ অয়েল। এর পাশাপাশি গ্রিন টি, সয়া মিল্ক, বিটরুট জ্যুস এবং রেড ওয়াইনও কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাছাড়া স্ট্যাটিনের সঙ্গে যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে ভিটামিন সি, ডি, বি৩ এবং বি১২ সাপ্লিমেন্ট কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সাহায্য করে।