Cholesterol: কোলেস্টেরল মানেই শত্রু নয়! সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই অভ্যাস
- Published by:Siddhartha Sarkar
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Cholesterol Control Tips: কোলেস্টেরল দুই ধরনের হয়ে থাকে। এলডিএল, যা ক্ষতিকারক বা খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এবং এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল। এ দুইয়ের ভারসাম্য নষ্ট হলেই বিপদ। তখনই শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
কোলেস্টেরল হল শরীরের সঠিক বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপের একটি অপরিহার্য উপাদান। হরমোন উৎপাদনের জন্য এবং শরীরের সেলুলার দেয়ালের নমনীয়তার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে হ্যাঁ, কোলেস্টেরল দুই ধরনের হয়ে থাকে। এলডিএল, যা ক্ষতিকারক বা খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এবং এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল। এ দুইয়ের ভারসাম্য নষ্ট হলেই বিপদ। তখনই শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। Representative Image
advertisement
শরীরে যখন ট্রাইগ্লিসারাইডের সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয় ক্ষতিকারক চর্বি, তখন তা ধমনীর দেয়ালে স্তর তৈরি করতে পারে। তাতেই বাধা পায় স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চাল। এ সময় আমাদের হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হয়ে থাকে। সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর থেকেই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সকলের তেমন নাও হতে পারে। হলেও নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব নয়। জীবনচর্যা এবং খাদ্যাভ্যাস এ ধরনের রোগের মুখোমুখি হওয়ার একটি বড় কারণ। সেই সঙ্গে রয়েছে মানসিক চাপ। যদিও বার্ধক্যজনিত কারণে হার্টের ব্লকেজ তৈরি হওয়া সাধারণ বিষয়। তবে চিন্তার কিছু নেই। নিজের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা যথেষ্ট। দৈনন্দিন জীবনচর্যায় কিছু পরিবর্তন করলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। রইল তেমনই কিছু স্বাস্থ্য টিপস— Representative Image
advertisement
১. সঠিক ফ্যাট গ্রহণ প্রয়োজন— স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট-সহ প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজা খাবার এবং বেকড খাবারে খারাপ চর্বি থাকে যা শরীরে এলডিএল বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে বাড়িতে রান্না করা খাবার। অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর রান্নার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ান প্রয়োজন। ওমেগা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং এলডিএল কমাতে এবং শরীরে এইচডিএল বাড়ানোর জন্য ভাল। বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট এবং ওমেগা ৩ ক্যাপসুল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। Representative Image
advertisement
২. ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ— নিজের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে কমপক্ষে ২০ মিনিট শরীরচর্চা করা অপরিহার্য। শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং ব্যায়াম যে কোনও ব্যক্তির শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করতে পারে। ফলে চর্বি জমতে দেয় না। অতিরিক্ত চর্বি জমা বেড়ে হলেই তারা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। Representative Image
advertisement
৩. ধূমপান ও অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ— ধূমপান সরাসরি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। তামাকের টার দ্রুত ধমনীতে কোলেস্টেরল সঞ্চয় করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এর বিপরীতে যাঁরা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করেছেন তাঁদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খুব বেশি অ্যালকোহল সেবনও ভাল নয়। এটিও হৃদযন্ত্রের উপর অনেক চাপ তৈরি করতে পারে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি এড়ানো যায়। Representative Image
advertisement
৪. মানসিক উদ্বেগ কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়— স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল এবং হৃদরোগ ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। যে কোনও রকম মানসিক চাপ ও উদ্বেগ শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই প্রথমেই নিজের মানসিক চাপের মূল কারণটি খুঁজে বের করে তা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। রক্তে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা সক্রিয় ভাবে কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান করা যেতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে কোনও আবহসঙ্গীত বা কোনও ভাল লাগার বই। Representative Image
advertisement
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে, সম্ভবত যে জিনিসগুলি তাৎক্ষণিক ভাবে মনে আসে তা হল স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং ব্যায়াম। এর বাইরে নিজের সচেতনতাও খুব জরুরি। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে প্রতি ছ’মাস অন্তর কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা পরিমাণ পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সামান্য জীবনধারার পরিবর্তন করলে কোনও ব্যক্তির কোলেস্টেরলের মাত্রা অসামান্য ফলাফল দেখা যায়। তবুও, দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়াতে সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ার জন্যও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) Representative Image