Brain Stroke Treatment: ব্রেন স্ট্রোকেও এবার আর ক্ষতি হবে না মস্তিষ্কের! নতুন এই ওষুধে ৬০% পর্যন্ত কমবে ব্রেন ড্যামেজ! বিশ্বকে চমকে দেওয়া তথ্য...

Last Updated:
Brain Stroke Treatment: স্ট্রোকের পর মস্তিষ্কের কোষ মৃত্যু ঠেকাতে নতুন ওষুধ আবিষ্কার করলেন কেমব্রিজের বিজ্ঞানীরা। এটি ব্রেন ড্যামেজ ৬০% পর্যন্ত কমাতে পারে। মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হলে এটি হতে পারে স্ট্রোক চিকিৎসায় বড় সাফল্যের ধাপ, বিস্তারিত জানুন...
1/10
বিপজ্জনক স্ট্রোক থেকে মুক্তির আশার আলো বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ ব্রেইন স্ট্রোক। রক্ত সঞ্চালনে বাধা বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে স্ট্রোক হয়, যা প্রাণঘাতী বা মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা স্ট্রোকের কারণে হওয়া ব্রেন ড্যামেজ প্রায় ৬০% পর্যন্ত কমাতে পারে। 'কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ' জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা স্ট্রোক সারভাইভারদের জন্য নতুন আশার আলো।
বিপজ্জনক স্ট্রোক থেকে মুক্তির আশার আলো বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ ব্রেইন স্ট্রোক। রক্ত সঞ্চালনে বাধা বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে স্ট্রোক হয়, যা প্রাণঘাতী বা মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা স্ট্রোকের কারণে হওয়া ব্রেন ড্যামেজ প্রায় ৬০% পর্যন্ত কমাতে পারে। 'কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ' জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা স্ট্রোক সারভাইভারদের জন্য নতুন আশার আলো।
advertisement
2/10
স্ট্রোকের দুই প্রকার স্ট্রোক সাধারণত দুটি রূপে ঘটে – ইসকেমিক স্ট্রোক: যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা আসে (সর্বাধিক ৮৭% ক্ষেত্রে)। হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তনালির ফেটে গিয়ে রক্তপাত ঘটলে হয়।
স্ট্রোকের দুই প্রকার স্ট্রোক সাধারণত দুটি রূপে ঘটে – ইসকেমিক স্ট্রোক: যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা আসে (সর্বাধিক ৮৭% ক্ষেত্রে)। হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তনালির ফেটে গিয়ে রক্তপাত ঘটলে হয়।
advertisement
3/10
দ্রুত চিকিৎসা না হলে ভয়াবহ ফল স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন না পৌঁছালে কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে। এর ফলে কেউ কথাই বলতে পারে না, নড়াচড়া করতে পারে না, এমনকি অন্যের কথা বুঝতেও পারে না। তাই স্ট্রোক হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।
দ্রুত চিকিৎসা না হলে ভয়াবহ ফল স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন না পৌঁছালে কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে। এর ফলে কেউ কথাই বলতে পারে না, নড়াচড়া করতে পারে না, এমনকি অন্যের কথা বুঝতেও পারে না। তাই স্ট্রোক হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।
advertisement
4/10
বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ইসকেমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বর্তমানে মেকানিকাল থ্রমবেকটমি পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এতে চিকিত্সকেরা সরু টিউবের মাধ্যমে জমে যাওয়া রক্ত বের করে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখেন। কিন্তু এটি মস্তিষ্কে হওয়া ক্ষতি আটকাতে পারে না। ১০ জনে মাত্র একজন এই চিকিৎসায় কোনো স্নায়বিক ক্ষতি ছাড়াই সুস্থ হন।
বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ইসকেমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বর্তমানে মেকানিকাল থ্রমবেকটমি পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এতে চিকিত্সকেরা সরু টিউবের মাধ্যমে জমে যাওয়া রক্ত বের করে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখেন। কিন্তু এটি মস্তিষ্কে হওয়া ক্ষতি আটকাতে পারে না। ১০ জনে মাত্র একজন এই চিকিৎসায় কোনো স্নায়বিক ক্ষতি ছাড়াই সুস্থ হন।
advertisement
5/10
রক্তপ্রবাহ পুনরুদ্ধারে বিপদ রক্তপ্রবাহ হঠাৎ ফিরে এলে ইসকেমিয়া-রিপারফিউশন ইঞ্জুরি হয়। এতে বিপজ্জনক ‘ফ্রি র‍্যাডিকালস’ তৈরি হয়, যা কোষ ও DNA-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে স্ট্রোকের ক্ষতি আরও বেড়ে যায়।
রক্তপ্রবাহ পুনরুদ্ধারে বিপদ রক্তপ্রবাহ হঠাৎ ফিরে এলে ইসকেমিয়া-রিপারফিউশন ইঞ্জুরি হয়। এতে বিপজ্জনক ‘ফ্রি র‍্যাডিকালস’ তৈরি হয়, যা কোষ ও DNA-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে স্ট্রোকের ক্ষতি আরও বেড়ে যায়।
advertisement
6/10
নতুন আবিষ্কার – ব্রেকথ্রু ওষুধ aDSM গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন একটি নতুন ওষুধ – Acidified Disodium Malonate (aDSM)। এটি স্ট্রোকের সময় সৃষ্ট ক্ষতি অনেকটাই কমায়। ইঁদুরের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ৬০% পর্যন্ত ব্রেন ড্যামেজ কমাতে পারে এবং ইসকেমিয়া-রিপারফিউশন ইঞ্জুরি প্রতিরোধ করে।
নতুন আবিষ্কার – ব্রেকথ্রু ওষুধ aDSM গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন একটি নতুন ওষুধ – Acidified Disodium Malonate (aDSM)। এটি স্ট্রোকের সময় সৃষ্ট ক্ষতি অনেকটাই কমায়। ইঁদুরের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ৬০% পর্যন্ত ব্রেন ড্যামেজ কমাতে পারে এবং ইসকেমিয়া-রিপারফিউশন ইঞ্জুরি প্রতিরোধ করে।
advertisement
7/10
কিভাবে কাজ করে এই ওষুধ? স্ট্রোকের সময় সুক্সিনেট নামে একটি কেমিক্যাল জমে যায়। রক্তপ্রবাহ ফিরে এলে এটি বিপজ্জনক ফ্রি র‍্যাডিকাল তৈরি করে। এই নতুন ওষুধে থাকা মালোনেট এই প্রক্রিয়া আটকায়। ওষুধটিকে একটু অ্যাসিডিক করায় এটি সহজেই blood-brain barrier অতিক্রম করে দ্রুত কাজ শুরু করে।
কিভাবে কাজ করে এই ওষুধ? স্ট্রোকের সময় সুক্সিনেট নামে একটি কেমিক্যাল জমে যায়। রক্তপ্রবাহ ফিরে এলে এটি বিপজ্জনক ফ্রি র‍্যাডিকাল তৈরি করে। এই নতুন ওষুধে থাকা মালোনেট এই প্রক্রিয়া আটকায়। ওষুধটিকে একটু অ্যাসিডিক করায় এটি সহজেই blood-brain barrier অতিক্রম করে দ্রুত কাজ শুরু করে।
advertisement
8/10
মানব শরীরে পরীক্ষার প্রস্তুতি গবেষক ড. জর্ডান লি জানান, “এই ওষুধ স্ট্রোকের পর মস্তিষ্কের কোষগুলোর মৃত্যু রোধ করে, যার ফলে রোগীরা দ্রুত হাঁটাচলা করতে পারেন, কথা বলতে পারেন।” ইঁদুরদের উপর এটি সফল হয়েছে। এখন মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। সফল হলে এটি হবে স্ট্রোক প্রতিরোধে এক যুগান্তকারী ওষুধ।
মানব শরীরে পরীক্ষার প্রস্তুতি গবেষক ড. জর্ডান লি জানান, “এই ওষুধ স্ট্রোকের পর মস্তিষ্কের কোষগুলোর মৃত্যু রোধ করে, যার ফলে রোগীরা দ্রুত হাঁটাচলা করতে পারেন, কথা বলতে পারেন।” ইঁদুরদের উপর এটি সফল হয়েছে। এখন মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। সফল হলে এটি হবে স্ট্রোক প্রতিরোধে এক যুগান্তকারী ওষুধ।
advertisement
9/10
দিল্লির নিউরোলজিস্ট ড. অরুণাভ সেন বলেছেন,
দিল্লির নিউরোলজিস্ট ড. অরুণাভ সেন বলেছেন, "নতুন ওষুধ যদি মানবদেহে সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে এটি স্ট্রোক চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্য হবে। স্ট্রোকের কারণে যে তীব্র ব্রেন ড্যামেজ হয়, তা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এই ওষুধ"...
advertisement
10/10
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
advertisement
advertisement
advertisement