Ayurveda: আয়ুর্বেদিক এই ওষুধেই বছরভর সুস্থ শিশু, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, ধারেকাছে ঘেঁষবে না 'ব্যাটেরিয়া','ভাইরাস'
- Reported by:Trending Desk
- local18
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
রাসায়নিক ওষুধের ক্ষেত্রে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু, আয়ুর্বেদিক ওষুধ শরীরকে সুস্থ রাখে
সময়মতো খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করাও জরুরি। রাসায়নিক ওষুধের ক্ষেত্রে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু, আয়ুর্বেদিক ওষুধ শরীরকে সুস্থ রাখে। ডা. পল্লব বলেন, শিশুদের বিশেষ করে শৈশবে শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া উচিত। এটি সুরক্ষার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শিশুরা বিশেষ করে শীতকালে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, এই ওষুধগুলি এর জন্য কাজ করে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
advertisement
সুবর্ণপ্রাশন শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে -ডা. পল্লব বলেন, শৈশবে এমন অনেক রোগ দেখা দেয়, যেগুলো সময়ের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, কেন না বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সেরে যায়। এর জন্য অনেক রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আয়ুর্বেদে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এরকম একটি চিকিৎসা হল সুবর্ণপ্রাশন সংস্কার, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
এতে নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধ সোনার ছাইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে শিশুদের দেওয়া হয়। জন্ম থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত সুবর্ণপ্রাশন চিকিৎসা করা হয়। এর সেবনে অনেক রোগ দূর হয়। বর্তমানে শৈশব থেকেই অনেক বিরক্তি, মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা থাকে, যার কারণে মানুষ অস্থির বোধ করে। এগুলো থেকে রক্ষার জন্য যদি ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ সুবর্ণপ্রাশন দেওয়া হয়, তাহলে শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে।
advertisement
মধু শ্বাসযন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষা করে -মধু কি শিশুদের জন্য ভাল? এই প্রশ্নের জবাবে ডা. পল্লব বলেন, শিশুদের মধ্যে নানা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা যায়, যেমন নিউমোনিয়া, কাশি, হাঁপানি এবং আরও অনেক রোগ, যার কারণে শিশুরা অনেক কষ্ট পায়। এসব থেকে রক্ষা পেতে মধু দেওয়া হয়। মধুর সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য রোগ দূর হয়। বর্তমানে মধুর গুণাগুণ সম্বলিত ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। এর সুফলও পাচ্ছে মানুষ। মধুর এমন অনেক গুণ রয়েছে, যা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না।
advertisement
সময়মতো আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার -তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে কিছু উপকারী উপাদানের মিশ্রণ থাকে, যা তাদের ব্যয়বহুল করে তোলে, তবে সব ওষুধের ক্ষেত্রে তা হয় না। বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন রাজ্য সরকারও এর ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় সরকারও মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রচলন বাড়াচ্ছে। সরকার সাধারণ মানুষকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার করারও আবেদন জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবাই সময়মতো আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা যায়।





