Ashwin Sankranti Garur Dal: আজ আশ্বিন সংক্রান্তি! কী দিয়ে রাঁধবেন গাড়ুর ডাল? ‘এই’ জিনিসটা দিতে ভুলবেন না! কালকে মুখে দিলেই ঘা-খোস-পাঁচড়ার ছুটি!

Last Updated:
Ashwin Sankranti Garur Dal: গাড়ুর ডাল রান্না করা হয় বছরে ঠিক একদিন। এই ডাল এক এক বাড়িতে এক এক ভাবে হয়। আগে ডালটা হত খেসারি ডাল দিয়ে। এখন যেহেতু খেসারির ডাল আমাদের দেশে বিক্রি নিষিদ্ধ৷ তাই মটর ডাল দিয়ে করা হয়। কেউ কেউ দু’তিন রকম ডাল মিশিয়েও করেন।
1/8
ঘটি বা এদেশীয়দের যেমন রান্নাপুজো বা অরন্ধন, পূর্ববঙ্গীয়দের তেমনই গারসি ব্রত৷ দু’টির মধ্যে সম্পূর্ণ সাদৃশ্য না থাকলেও কিছু মিল রয়েছে৷ গারসি ব্রত পালিত হয় আশ্বিন সংক্রান্তি বা আশ্বিনের শেষ দিনে৷ এই ব্রতপালনের অন্যতম হল গাড়ুর ডাল৷ যেটি রেঁধে খাওয়া হয় পর দিন বা কার্তিকের প্রথম দিন৷
ঘটি বা এদেশীয়দের যেমন রান্নাপুজো বা অরন্ধন, পূর্ববঙ্গীয়দের তেমনই গারসি ব্রত৷ দু’টির মধ্যে সম্পূর্ণ সাদৃশ্য না থাকলেও কিছু মিল রয়েছে৷ গারসি ব্রত পালিত হয় আশ্বিন সংক্রান্তি বা আশ্বিনের শেষ দিনে৷ এই ব্রতপালনের অন্যতম হল গাড়ুর ডাল৷ যেটি রেঁধে খাওয়া হয় পর দিন বা কার্তিকের প্রথম দিন৷
advertisement
2/8
গারসি ব্রতে একাধিক ছড়া প্রচলিত৷ সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘আশ্বিনে রেঁধে কার্তিকে খায়/ যে বর মাগে, সে বর পায়৷’ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করাই এই ব্রতের লক্ষ্য৷ বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর৷
গারসি ব্রতে একাধিক ছড়া প্রচলিত৷ সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘আশ্বিনে রেঁধে কার্তিকে খায়/ যে বর মাগে, সে বর পায়৷’ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করাই এই ব্রতের লক্ষ্য৷ বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর৷
advertisement
3/8
গাড়ুর ডাল রান্না করা হয় বছরে ঠিক একদিন। এই ডাল এক এক বাড়িতে এক এক ভাবে হয়। আগে ডালটা হত খেসারি ডাল দিয়ে। এখন যেহেতু খেসারির ডাল আমাদের দেশে বিক্রি নিষিদ্ধ৷ তাই মটর ডাল দিয়ে করা হয়। কেউ কেউ দু’তিন রকম ডাল মিশিয়েও করেন।
গাড়ুর ডাল রান্না করা হয় বছরে ঠিক একদিন। এই ডাল এক এক বাড়িতে এক এক ভাবে হয়। আগে ডালটা হত খেসারি ডাল দিয়ে। এখন যেহেতু খেসারির ডাল আমাদের দেশে বিক্রি নিষিদ্ধ৷ তাই মটর ডাল দিয়ে করা হয়। কেউ কেউ দু’তিন রকম ডাল মিশিয়েও করেন।
advertisement
4/8
গরম ও শীতের সন্ধিক্ষণে হেমন্তকালে এই ব্রত পালিত হয়৷ তাই গাড়ুর ডালে দুই মরশুমের সবজিই পাওয়া যায়৷ দেওয়া হয় নানা রকমের সবজি মিলিয়ে মিশিয়ে৷ শাপলা, শাপলার শালুক, মিষ্টি কুমড়ো, থোড়, মুলো, শিম, লাউ, নানা ধরণের কচু দেওয়া হয় এই ডালে৷
গরম ও শীতের সন্ধিক্ষণে হেমন্তকালে এই ব্রত পালিত হয়৷ তাই গাড়ুর ডালে দুই মরশুমের সবজিই পাওয়া যায়৷ দেওয়া হয় নানা রকমের সবজি মিলিয়ে মিশিয়ে৷ শাপলা, শাপলার শালুক, মিষ্টি কুমড়ো, থোড়, মুলো, শিম, লাউ, নানা ধরণের কচু দেওয়া হয় এই ডালে৷
advertisement
5/8
কাঁচা তেঁতুল দিতেই হবে গাড়ুর ডালে৷ এটা বছরের এই একটি সময়েই পাওয়া যায়৷ বাকি বছর পাওয়া যায় না৷ বেশির ভাগ বাড়িতেই এই ডালে কোনও তেল বা ফোড়ন দেওয়া হয় না৷ এই ডাল ভক্ষণে মরশুমি পরিবর্তনে মজবুত হয় শারীরিক রোগ প্রতিরোধ৷
কাঁচা তেঁতুল দিতেই হবে গাড়ুর ডালে৷ এটা বছরের এই একটি সময়েই পাওয়া যায়৷ বাকি বছর পাওয়া যায় না৷ বেশির ভাগ বাড়িতেই এই ডালে কোনও তেল বা ফোড়ন দেওয়া হয় না৷ এই ডাল ভক্ষণে মরশুমি পরিবর্তনে মজবুত হয় শারীরিক রোগ প্রতিরোধ৷
advertisement
6/8
আশ্বিন সংক্রান্তিকে গাসসী, গাড়ু সংক্রান্তি, নল সংক্রান্তি বা ডাক সংক্রান্তিও বলা হয়৷ প্রচলিত মতে, আজ ধানের সাধভক্ষণ। আশ্বিনের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের মাঝামাঝি ধানের গর্ভধারণ কাল। ধানে পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে কৃষকের কষ্টের শেষ নেই৷ কারণ ফসল পুষ্ট হয়না। ফসল বাঁচাতে মূলত এই নল সংক্রান্তির অনুষ্ঠান।
আশ্বিন সংক্রান্তিকে গাসসী, গাড়ু সংক্রান্তি, নল সংক্রান্তি বা ডাক সংক্রান্তিও বলা হয়৷ প্রচলিত মতে, আজ ধানের সাধভক্ষণ। আশ্বিনের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের মাঝামাঝি ধানের গর্ভধারণ কাল। ধানে পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে কৃষকের কষ্টের শেষ নেই৷ কারণ ফসল পুষ্ট হয়না। ফসল বাঁচাতে মূলত এই নল সংক্রান্তির অনুষ্ঠান।
advertisement
7/8
কৃষক পরিবারে সংক্রান্তির আগে রাত থাকতে সাধারণত নল ঘাস বাঁধা হয়৷ চিরাচরিত সেই বাঁধনে থাকে কাঁচা হলুদ, তুলসী পাতা, শালুক, বেলপাতা, শসা, কালমেঘ, কেঁউ, ওল পাতা৷ সেইসঙ্গে অঞ্চল ভেদে দেওয়া হয় শুকনো মাছ। আলো ফোটার আগে এই বাঁধন পুঁতে দিতে হয় পরিবাররে চাষজমির ঈশান কোণে।
কৃষক পরিবারে সংক্রান্তির আগে রাত থাকতে সাধারণত নল ঘাস বাঁধা হয়৷ চিরাচরিত সেই বাঁধনে থাকে কাঁচা হলুদ, তুলসী পাতা, শালুক, বেলপাতা, শসা, কালমেঘ, কেঁউ, ওল পাতা৷ সেইসঙ্গে অঞ্চল ভেদে দেওয়া হয় শুকনো মাছ। আলো ফোটার আগে এই বাঁধন পুঁতে দিতে হয় পরিবাররে চাষজমির ঈশান কোণে।
advertisement
8/8
পাটকাঠি জ্বালিয়ে তাতে কাঁচা হলুদ পুড়িয়ে ঠোঁটে মাখলে শীতে ত্বক মসৃণ হয় বলে মনে করা হয়৷ হাঁড়িতে ফুটন্ত জলে ফেলা হয় মুঠি৷ পর দিন সকালে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে সেই মুঠি খাওয়া হয়৷ প্রচলিত বিশ্বাস,এতে মুক্তি পাওয়া যায় ত্বকের সমস্যা ও চর্মরোগ থেকে৷
পাটকাঠি জ্বালিয়ে তাতে কাঁচা হলুদ পুড়িয়ে ঠোঁটে মাখলে শীতে ত্বক মসৃণ হয় বলে মনে করা হয়৷ হাঁড়িতে ফুটন্ত জলে ফেলা হয় মুঠি৷ পর দিন সকালে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে সেই মুঠি খাওয়া হয়৷ প্রচলিত বিশ্বাস,এতে মুক্তি পাওয়া যায় ত্বকের সমস্যা ও চর্মরোগ থেকে৷
advertisement
advertisement
advertisement