

গম যে নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কারন গবেষণা বলছে এই কৃষিজাত উপদানটির মধে উপস্থিত রয়েছে আয়রন, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন B6 এবং আরও সব উপকারি উপাদান। কিন্তু এই গম দিয়ে বানানো রুটিও কি সমান উপকারি? একেবারেই! গমে যে যে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে , তা সবই উপস্থিত থাকে রুটিতেও। তাই দিনে কম করে ২-৩ টে করে রুটি খেলেই শরীরের নানাবিধ উপকার হয় (Photo collected)


শরীরের মধ্যে থাকা পেশী শক্তি বৃদ্ধি পায় তখনই যখন প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আর রুটিতে যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, তা খুব সহজেই শরীরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি মেটায়, সেই সঙ্গে পেশীর গঠনেও কাজে আসে। (Photo collected)


গম দিয়ে বানানো রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B1, B2, B3, B6, B9 এবং ভিটামিন E, যা শরীরে এই সব ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সব ভিটামিনই নানাভাবে শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে (Photo collected)


নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারতে একেবারে সময়ই লাগে না। একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে গমের রুটি যতটা উপকারি, বাজরার রুটি কিন্তু অতটা উপকারি নয় (Photo collected)


গমের রুটির মধ্যে থাকা ভিটামিন E, ফাইবার এবং সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে টিউমারের সম্ভাবনাও কমায়। ফলে এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। (Photo collected)


গমের মধ্যে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপদান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে ফাইবারের কোনও বিকল্প হয় না। (Photo collected)


অফিসে সেই সকাল থেকে এত কাজের চাপ যে মাথা তুলতে পারেননি। ফলে এনার্জি লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে? তাহলে লাঞ্চে রুটি খাওয়া মাস্ট! গম দিয়ে বানানো রুটির মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন নিমেষে ক্লান্তি দূর করে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। (Photo collected)


রুটি কেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেই সঙ্গে রুটি যেহেতু তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাই মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। (Photo collected)