Alchohol: কতটা মদ খাওয়া 'নিরাপদ'? কতটা পরিমাণের বেশি মদ্যপানে ক্যানসার প্রায় অনিবার্য? জানাল WHO
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
Alchohol: ২০১৯ সালে মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬ লক্ষ, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ
advertisement
advertisement
মদ্যপানের সঙ্গে যে রোগটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে, সেটি হল ক্যানসার। ২০১৬ সালে যে ৩০ লক্ষ মানুষ মদ খেয়ে মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে ২৮ শতাংশ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনও না কোনও দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, ২১ শতাংশ পেটে সমস্যার কারণে মারা গিয়েছেন, ১৯ শতাংশ হার্টের সমস্যার কারণে মৃত ও বাকিরা ছোঁয়াচে রোগ, ক্যানসার বা মানসিক রোগের কারণে মৃত বলে জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।
advertisement
advertisement
International Agency for Research on Cancer-এর তথ্য অনুযায়ী, অ্যালকোহল প্রথম সারির কারসিনোজেন। যত বেশি মদ্যপান করবেন, তত বাড়বে ক্যানসারের ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর সতর্কবাণী, '' কতটা মদ্যপানে স্বাস্ব্যের ক্ষতি হয় না ? এরকম কোন-ও মাপ নেই। অ্যালকোহলের কোন-ও 'সেফ-লেভেল' হয় না। এক ফোঁটা মদ শরীরে যাওয়া মানেই শরীরের ক্ষতি।''
advertisement
advertisement
এমন বহু রোগী আছেন, যাঁরা অ্যালকোহল বহুবছর ছেড়ে দেওয়ার পর-ও ফ্যাটি লিভার-এ আক্রান্ত হয়েছেন। আবার অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা লিভার খানিক সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আবার মদ্যপান শুরু করেন। এতে লিভার আর-ও বেশি অকেজো হয়ে পড়ে। লিভার নিজে থেকেই নিজেকে সারিয়ে তোলে। একটা সময় পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে পারে। কিন্তু একটা সময়ের পর লিভার হাল ছেড়ে দেয়। তখন আর লিভার সেরে ওঠার কোন-ও রাস্তা থাকে না। সেই পরিস্থিতিকে বলে লিভার ফেলিওর।
advertisement
advertisement
advertisement
যদি অনেকদিন ধরে আপনি লাগাতার প্রচুর পরিমাণে মদ খান, তাহলে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে আপনার চিন্তা-ভাবনার মত ফিলিংসগুলো অকেজো হয়ে যেতে থাকে। স্মৃতিশক্তি কমে আসে। প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করলে লিভারের লাইনিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে দেখা দেয় গ্যাসট্রাইটিস, পরে হতে পারে লিভারের সিরোসিস।
advertisement
advertisement
মানুষ কেন মদ্যপান করে? মূলত নেশা করার জন্য। মদ খেলে কেন নেশা হয়? কারণ, শরীরে মদ শোষিত হওয়ার পর রক্তের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদ পৌঁছায় মস্তিষ্কে। তখন-ই যত ‘মাথা ঝিমঝিম’ বা নেশার সৃষ্টি। মস্তিষ্ক প্রথম মদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। তারপর একে একে আক্রান্ত হয় লিভার, কিডনি, ফুসফুস। সামান্য পরিমাণ মদ খিদে বাড়াতে সক্ষম, কারণ সেটি স্টোমাক জুস-এর প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বেশি মাত্রায় মদ খেলে খিদে মরে যায়
advertisement