দেশে বাড়ছে 'ব্লাড ক্যানসার'! কারা 'শিকার' হচ্ছেন?...এই সামান্য উপসর্গই কি 'বড়' বিপদের ইঙ্গিত?

Last Updated:
Blood Cancer: ভারতে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML) রোগের প্রকোপ বাড়ছে, বিশেষত কিশোরদের মধ্যে! সঠিক নির্ণয় প্রক্রিয়া ও চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কী ভাবে সতর্ক হবেন?
1/10
Acute Myeloid Leukemia: অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় AML! ভারতে বাড়ছে সেই AML-এর প্রকোপ, আক্রান্ত হচ্ছে কিশোররাও। সঠিক নির্ণয় প্রক্রিয়ার অভাব, হাসপাতালের ঘাটতি, কেমোথেরাপির সংক্রমণ—এই সমস্ত কারণেই মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে। সাবধান হন। কী ভাবে বুঝবেন আগে থেকে? Acute Myeloid Leukemia or AML Cases Rise in India do you know this small symptom government-issues-key-warnings-over-rising-blood-cancer
Acute Myeloid Leukemia: অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় AML! ভারতে বাড়ছে সেই AML-এর প্রকোপ, আক্রান্ত হচ্ছে কিশোররাও। সঠিক নির্ণয় প্রক্রিয়ার অভাব, হাসপাতালের ঘাটতি, কেমোথেরাপির সংক্রমণ—এই সমস্ত কারণেই মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে। সাবধান হন। কী ভাবে বুঝবেন আগে থেকে?
advertisement
2/10
মানুষের দেহের যে কোনও অঙ্গে ক্যানসার হতে পারে। ক্যানসারের প্রায় ২০০টি প্রকারভেদ রয়েছে। তবে রক্ত এবং অস্থিমজ্জাকে আক্রান্ত করে যে ক্যানসার, তাকে বলে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML)। ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ক্যানসারের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
মানুষের দেহের যে কোনও অঙ্গে ক্যানসার হতে পারে। ক্যানসারের প্রায় ২০০টি প্রকারভেদ রয়েছে। তবে রক্ত এবং অস্থিমজ্জাকে আক্রান্ত করে যে ক্যানসার, তাকে বলে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML)। ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ক্যানসারের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
advertisement
3/10
এই রোগে ব্লাস্ট নামে অস্বাভাবিক কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ব্লাস্ট কোষগুলি স্বাভাবিক রক্তকণিকা গঠনের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এক কথায়, এটি লিউকেমিয়ারই একটি প্রকার বা রক্ত ক্যানসার।
এই রোগে ব্লাস্ট নামে অস্বাভাবিক কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ব্লাস্ট কোষগুলি স্বাভাবিক রক্তকণিকা গঠনের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এক কথায়, এটি লিউকেমিয়ারই একটি প্রকার বা রক্ত ক্যানসার।
advertisement
4/10
সাধারণত কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে AML রোগীদের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির সময় ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও বহুধরনের ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সাধারণত কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে AML রোগীদের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির সময় ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও বহুধরনের ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
5/10
ডা. এস ভি এস দেবী মেডিকভার হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি AML রোগীদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ। তাঁর মতে, AML-এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণগুলি খুব সাধারণ হতে পারে, যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি, জ্বর, অনিয়ন্ত্রিত ওজন কমে যাওয়া, বারবার সংক্রমণ হওয়া বা শরীরে সহজে রক্তক্ষরণ হওয়া। অনেক সময় এই উপসর্গগুলি সাধারণ অসুখের মতো মনে হয়, ফলে রোগী দেরিতে চিকিৎসকের কাছে আসেন।"
ডা. এস ভি এস দেবী মেডিকভার হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি AML রোগীদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ। তাঁর মতে, AML-এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণগুলি খুব সাধারণ হতে পারে, যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি, জ্বর, অনিয়ন্ত্রিত ওজন কমে যাওয়া, বারবার সংক্রমণ হওয়া বা শরীরে সহজে রক্তক্ষরণ হওয়া। অনেক সময় এই উপসর্গগুলি সাধারণ অসুখের মতো মনে হয়, ফলে রোগী দেরিতে চিকিৎসকের কাছে আসেন।"
advertisement
6/10
AML শনাক্ত করার জন্য ভারতে এখনও উন্নত ও নির্ভুল নির্ণয় পদ্ধতি নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে না। AML-এর ভয়াবহতা অনেকসময় খাটো করে দেখা হয়, ফলে এটি ক্রমশ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তি রয়েছে, কারণ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই জানেন না, AML রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঠিক কোন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো উচিত।
AML শনাক্ত করার জন্য ভারতে এখনও উন্নত ও নির্ভুল নির্ণয় পদ্ধতি নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে না। AML-এর ভয়াবহতা অনেকসময় খাটো করে দেখা হয়, ফলে এটি ক্রমশ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তি রয়েছে, কারণ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই জানেন না, AML রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঠিক কোন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো উচিত।
advertisement
7/10
AML নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, বিশেষত গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায়। ফলে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে।
AML নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, বিশেষত গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায়। ফলে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে।
advertisement
8/10
AML চিকিৎসার জন্য কর্পোরেট হাসপাতালগুলিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। যা বহু রোগীর পরিবারের পক্ষে বিশাল আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেতে দেরি হয়, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
AML চিকিৎসার জন্য কর্পোরেট হাসপাতালগুলিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। যা বহু রোগীর পরিবারের পক্ষে বিশাল আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেতে দেরি হয়, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
advertisement
9/10
কী করণীয়? - AML সম্পর্কে গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। - ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। - AML রোগের সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে দ্রুত আরোগ্যের উপায় খুঁজতে হবে। - AML চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
কী করণীয়? - AML সম্পর্কে গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। - ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। - AML রোগের সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে দ্রুত আরোগ্যের উপায় খুঁজতে হবে। - AML চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
advertisement
10/10
AML-এর চিকিৎসা, রোগের প্রকৃতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। - হাসপাতালের শয্যা, চিকিৎসক ও ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়াতে হবে। - সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। - জেনেরিক ক্যানসার ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের গুণগত মান উন্নত করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে হবে। - নতুন ওষুধ ও চিকিৎসার জন্য আরও বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে হবে। - AML-এর মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা সবার জন্য সহজলভ্য করার জন্য নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। Acute Myeloid Leukemia or AML Cases Rise in India do you know this small symptom government-issues-key-warnings-over-rising-blood-cancer
AML-এর চিকিৎসা, রোগের প্রকৃতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। - হাসপাতালের শয্যা, চিকিৎসক ও ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়াতে হবে। - সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। - জেনেরিক ক্যানসার ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের গুণগত মান উন্নত করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে হবে। - নতুন ওষুধ ও চিকিৎসার জন্য আরও বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে হবে। - AML-এর মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা সবার জন্য সহজলভ্য করার জন্য নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে।
advertisement
advertisement
advertisement