Sleeping Mistakes|| সারা মুখ ব্রনয় ভরে গিয়েছে? ঘুমের এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন না তো?
- Published by:Shubhagata Dey
- trending desk
Last Updated:
Sleeping Mistakes: শোওয়ার সময় কোনও ভুল-ত্রুটি হয়, তার প্রভাব গিয়ে ত্বকের উপর পড়ে। দেখে নেওয়া যাক সেই সব ভুলগুলো কী কী।
*সকালে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই যদি গালে একটা মস্ত বড় ব্রন দেখা যায় তাহলে কি আর মাথার ঠিক থাকে? এটা কারও জন্যই কোনও সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। অনেক চেষ্টা করার পরেও যখন তখন ব্রন দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস থেকে শুরু করে অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, ত্বকে কঠোর রাসায়নিক ব্যবহার করা, ব্রন হওয়ার এগুলোই কিছু সাধারণ কারণ। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*মুশকিল হচ্ছে এগুলোর পিছনে সময় দিতে গিয়ে অনেক সময় অন্য একটি কারণ চোখ এড়িয়ে যায়। আর সেটা হল আমাদের ঘুমের ধরন! একদম চমকে ওঠার কিছু নেই। আমাদের ঘুমের ধনণ আমাদের ত্বকের অবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং তার থেকে ব্রন হতে পারে। রাত ত্বকের জন্য সেরা সময়, এই সময় ত্বক পুনরুদ্ধার এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তাই যদি শোওয়ার সময় কোনও ভুল-ত্রুটি হয়, তার প্রভাব গিয়ে ত্বকের উপর পড়ে। দেখে নেওয়া যাক সেই সব ভুলগুলো কী কী। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*বালিশের কভার না পালটানো: বাইরে পরার জামাকাপড় যেমন নিয়মিত ধুতে হয়, ঠিক তেমনই বিছানার চাদর, বালিশের কভার সেগুলোও নিয়ম মেনে ধুতে হয়। ধোয়ার সময় না থাকলে অন্তত সেটা পরিবর্তন করে দিতে হয়। বালিশের উপর মাথা দিয়ে শোওয়ার দরুন, তার উপরে ময়লা-ধুলো ইত্যাদি জমা হয়। বালিশের কভারে মুখ রাখলে কভারে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ত্বকে স্থানান্তরিত হয়, যার ফলে ব্রন হয়। তাই ব্রন এড়াতে সপ্তাহে একবার বালিশের কভার পরিবর্তন করতে হবে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*মেকআপ সমেত ঘুমোতে যাওয়া: মাঝ রাত পর্যন্ত পার্টি বা বিয়েবাড়ি থাকলে বাড়ি এসে আর মেকআপ তুলতে ইচ্ছে করে না। এরকমটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু মেকআপ নিয়ে ঘুমানো ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। মেকআপের অবশিষ্টাংশ সারা রাত ত্বকের ছিদ্রগুলিকে আটকে রাখে এবং তার থেকেই ব্রন সৃষ্টি হয়।তাই দিনশেষে যতই ক্লান্তি থাক না কেন, হালকা কোনও মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলে মুখ পরিষ্কার করে তবেই শুতে যাওয়া উচিত। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো: এটা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও কথাটা সত্যি। পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমালে মুখ থাকে বালিশের কভারের উপর। সারা রাত ধরে মুখ আর কভারের মধ্যে ঘষা লাগে। এর থেকেও ব্রন হতে পারে। মুখ আর বালিশের কভারের সরাসরি স্পর্শ না হওয়াই ভাল। তাই ব্রন এড়াতে চাইলে পেটের উপর ভর করে ঘুমানো এড়াতে হবে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*সারা রাত চুলে তেল মেখে শোয়া: চুলে হেয়ার অয়েল মাসাজ করা খুব ভাল। কিন্তু এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সারা রাত তেল মেখে শোয়া খুব একটা ভাল নয়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক এমনিতেই তৈলাক্ত তাঁদের সারা রাত তেল মেখে না ঘুমানোই ভালো। কারণ সারা রাত ধরে তেল একটু একটু করে মাথা ও মুখে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই অতিরিক্ত সেবাম থেকেই ব্রন সৃষ্টি হয়। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*মুখ ঠিক করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না: হতেই পারে আদতে ব্রন হওয়ার জন্য ঘুমের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। কারণ এর জন্য ব্যক্তি নিজে দায়ী। কেন? অনেকেই মুখ ঠিক করে পরিষ্কার করেন না। যার জন্য ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা থেকে ব্রন হয়। মেকআপ না করলেও ত্বকে সারাদিন প্রচুর ময়লা জমে থাকে। আবার তার উপরে ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ইত্যাদির প্রলেপ এবং দূষণ ত্বকের ছিদ্র আটকে দেয় এবং ব্রন সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়াও, ত্বকে ফেসওয়াশ লাগানোর আগে সর্বদা হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ব্রন প্রতিরোধে ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*নোংরা তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা: হতে পারে একজন সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরেও ব্রন হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। সঠিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরেও এবং সমস্ত নিয়ম মানার পরেও ত্বকে ব্রন দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হয় তো কেউ নিজের অজান্তেই এমন কিছু দিয়ে মুখ মুছছেন যার মধ্যে ময়লা আছে। সেটা কোনও তোয়ালে, গামছা, রুমাল, ওয়াশক্লথ- যে কোনও কিছু হতে পারে। ব্রন এড়াতে তোয়ালে বা ওয়াশক্লথগুলি অবশ্যই নিয়মিত ধুতে এবং পরিবর্তন করতে হবে, কারণ এগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র। ২-৩টি তোয়ালের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। প্রতীকী ছবি।