আজকের দিনে বিয়ে যেন এক বিরাট খরচাপাতির ব্যাপার। দেখা যায়, সন্তানের বিয়ে দিতে গিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে যান বাবা-মা। কিন্তু, এবার মাত্র ৫০০ টাকাতেই দুয়ারে বিয়ের ব্যবস্থা? শুনতে গাঁজাখুরি মনে হলেও সরকারি ব্যবস্থাতেই এবার বিয়ে করতে পারবেন। মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবার এবার সন্তানের বিয়ে দিতে পারবেন মাত্র ৫০০ টাকাতেই। কোথায় হবে এই ৫০০ টাকার বিয়ে?
দুয়ারেই মিলতে চলেছে এই পরিষেবা। প্রতিটি জেলায় চার পাঁচটি থানা এলাকার জন্য রয়েছে একটি করে সাব রেজিস্ট্রি অফিস। এই অফিসগুলিতে মূলত জমি বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হত এতদিন। বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য যেতে হত জেলা সদরে। তবে এবার বিয়ের রেজিস্ট্রেশনও হবে এই সাব রেজিস্ট্রি অফিসগুলি থেকেই। ফলে বিয়ে করতে আর কাউকে বাড়ি থেকে দূরে জেলা সদরে ছুটতে হবে না।
ডিরেক্টরেট অফ রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাপ রেভিনিউ-এর এক আধিকারিক বলেন, "এ রাজ্যে সাব রেজিস্ট্রাররা এক্স অফিসও ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে তাঁরাও বিয়ের রেজিস্ট্রি করাতে পারেন। জেলার রেজিস্ট্রি অফিসে বা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে বিয়ের খরচ পড়ে মাত্র ৫০০ টাকা। এই ৫০০ টাকার মধ্যে ১০০ টাকা লাগে নোটিস খরচ বাবদ এবং বাকি ৪০০ টাকা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন খরচ বাবদ নেওয়া হয়।"
ডিরেক্টরেট সূত্রে বলা হয়, যদি কেউ চান সাব রেজিস্ট্রার বাড়িতে বা বিবাহের ভেন্যুতে গিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন তবে সেই যুগলকে ব্যয় করতে হবে আরও ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের জন্য এই খরচ অর্ধেক। রেজিস্ট্রি খরচের এই সম্পূর্ণ টাকা জমা পড়ে রাজ্যের কোষাগারে। অথচ, অন্য মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে সরকারি ফিয়ের পাশপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত বেশ কয়েক হাজার টাকা।
বিয়ের রেজিস্ট্রিটে উত্তর ২৪ পরগনা তালিকায় সবচেয়ে উপরে। সেখানে এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭০৫ জনের। এরপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে ১ হাজার ৯০৩ জনের। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। তারপর একে একে হুগলি,হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, কোচবিহার, মালদা, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ।