Weather Alert | Weather update: উইকেন্ডে বড় প্ল্যান! ভেস্তে দিতে পারে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, দেখে রাখুন আগামী ৭২ ঘণ্টার ওয়েদার অ্য়ালার্ট

আবহাওয়া আপডেট: পশ্চিম থেকে পূর্ব নিম্নচাপ অক্ষরেখা। দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান ও কচ্ছ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান। অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গেছে। এই অক্ষরেখার প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে সাগর থেকে।

এর প্রভাবে সোমবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি। দমকা ঝোড়ো হাওয়া। বিক্ষিপ্তভাবে দু'এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। মঙ্গলবার ২১ মার্চ থেকে আবহাওয়ার বদল হতে পারে।

১৭ মার্চ শুক্রবার। দক্ষিণবঙ্গে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি এবং সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।

১৭ মার্চ শুক্রবার। উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক জায়গায় শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে।

১৭ মার্চ শুক্রবার। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।

১৮ মার্চ শনিবার। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে।

১৯ মার্চ রবিবার। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে দমকা ঝড় হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।

১৯ মার্চ রবিবার। উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

১৯ মার্চ রবিবার। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এই ছয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।

১৯ মার্চ রবিবার। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ো হওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গের চা বাগান এবং উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আমবাগানের ক্ষতি হতে পারে। যাঁরা এখনও আলু তোলেননি সেই আলু চাষিদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, সবজি চাষে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।