Kunal Ghosh: 'অভিমান ছিল', তৃণমূল ছাড়ছেন কুণাল ঘোষ? বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল নেতার! স্পষ্ট করে দিলেন 'সব'

Last Updated:
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
1/6
কলকাতা: বিদ্রোহের সুর কুণাল ঘোষের মুখে? কুণালের পোস্ট এবং বক্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। শুক্রবার কুণাল বলেন, 'প্রচণ্ড শক্তিশালী কেউ আমাকে পছন্দ না করলে আমিও তাঁকে পছন্দ করি না। পুরু হতে ভালোবাসি, আলেকজান্ডার নয়।' কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'মমতাদির সঙ্গে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক, কিছু লোকের গাত্রদাহ হয়েছিল। ল্যাজে আগুন দিলে আমি হনুমান হিসেবে পারফর্ম করব। কর্মীরা কেন নেতাদের ওপর নজর রাখবে না?'
কলকাতা: বিদ্রোহের সুর কুণাল ঘোষের মুখে? কুণালের পোস্ট এবং বক্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। শুক্রবার কুণাল বলেন, 'প্রচণ্ড শক্তিশালী কেউ আমাকে পছন্দ না করলে আমিও তাঁকে পছন্দ করি না। পুরু হতে ভালোবাসি, আলেকজান্ডার নয়।' কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'মমতাদির সঙ্গে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক, কিছু লোকের গাত্রদাহ হয়েছিল। ল্যাজে আগুন দিলে আমি হনুমান হিসেবে পারফর্ম করব। কর্মীরা কেন নেতাদের ওপর নজর রাখবে না?'
advertisement
2/6
এই পরিস্থিতিতে কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের পোস্টে কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবিটি তুলে ধরেন। এরপরই লেখেন, 'প্রথম সরাসরি আলাপ ১৯৮৭ সালে। তারপর দীর্ঘ যোগাযোগ। প্রবল স্নেহ পেয়েছি। নানা অভিজ্ঞতা। সেই সুসম্পর্কটা অনের সহ্য হয়নি। ফলে জীবনের কঠিনতম দিন দেখেছি আমি। অভিমান ছিল কিন্তু দল ছাড়ার কথা ভাবিনি, ছাড়িনি।'
এই পরিস্থিতিতে কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের পোস্টে কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবিটি তুলে ধরেন। এরপরই লেখেন, 'প্রথম সরাসরি আলাপ ১৯৮৭ সালে। তারপর দীর্ঘ যোগাযোগ। প্রবল স্নেহ পেয়েছি। নানা অভিজ্ঞতা। সেই সুসম্পর্কটা অনের সহ্য হয়নি। ফলে জীবনের কঠিনতম দিন দেখেছি আমি। অভিমান ছিল কিন্তু দল ছাড়ার কথা ভাবিনি, ছাড়িনি।'
advertisement
3/6
বর্তমান অবস্থান স্পষ্ট করেই কুণাল লেখেন, 'দিনকাল বদলেছে, পুরনো স্মৃতিতে নতুনের সংযোজন। আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাওয়া সৈনিক তার কর্তব্যে অবিচল এখনও।' পাশাপাশি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি জানান, বাংলা আগের থেকে ভাল আছে। অন্য রাজ্যের থেকেও ভাল আছে।
বর্তমান অবস্থান স্পষ্ট করেই কুণাল লেখেন, 'দিনকাল বদলেছে, পুরনো স্মৃতিতে নতুনের সংযোজন। আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাওয়া সৈনিক তার কর্তব্যে অবিচল এখনও।' পাশাপাশি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি জানান, বাংলা আগের থেকে ভাল আছে। অন্য রাজ্যের থেকেও ভাল আছে।
advertisement
4/6
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে বলতেই হয়, আরজি কর আন্দোলনের সময়ে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে যখন চিকিৎসকরা ধরনা-আন্দোলনে বসেছিলেন, তখন দলের হয়ে একের পর এক পোস্ট করে গিয়েছিলেন কুণাল। সে পোস্টের বক্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। তবে সে সময়ে লক্ষ্যণীয়ভাবেই দলের বহু নেতাও নিশ্চুপ থেকেছেন। সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই বিষয়টিই এদিন আরও একবার উস্কে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে বলতেই হয়, আরজি কর আন্দোলনের সময়ে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে যখন চিকিৎসকরা ধরনা-আন্দোলনে বসেছিলেন, তখন দলের হয়ে একের পর এক পোস্ট করে গিয়েছিলেন কুণাল। সে পোস্টের বক্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। তবে সে সময়ে লক্ষ্যণীয়ভাবেই দলের বহু নেতাও নিশ্চুপ থেকেছেন। সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই বিষয়টিই এদিন আরও একবার উস্কে দেন তিনি।
advertisement
5/6
কুণালের বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে তো দলের সব নেতাই সরব হন। কিন্তু স্থানীয় কোনও ইস্যুতে কিংবা কুৎসা রটলে, তার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, অপ্রিয় সত্য কথা বলা, ঝুঁকি নিয়ে মোকাবিলা করাই আসল মোকাবিলা। আরজি কর আন্দোলনের সময়ে যাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন, যাঁরা বিপক্ষে কথা বলেছিলেন, তাঁদের নিয়েই কুণাল ‘ঝাপসা ঝাপসা’ বলেও স্পষ্ট করে দেন।
কুণালের বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে তো দলের সব নেতাই সরব হন। কিন্তু স্থানীয় কোনও ইস্যুতে কিংবা কুৎসা রটলে, তার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, অপ্রিয় সত্য কথা বলা, ঝুঁকি নিয়ে মোকাবিলা করাই আসল মোকাবিলা। আরজি কর আন্দোলনের সময়ে যাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন, যাঁরা বিপক্ষে কথা বলেছিলেন, তাঁদের নিয়েই কুণাল ‘ঝাপসা ঝাপসা’ বলেও স্পষ্ট করে দেন।
advertisement
6/6
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের পোস্ট, 'শুভ বিজয়া। বড়দের প্রণাম। বাকিদের শুভেচ্ছা। ঝড়-জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমার জীবন। ঈশ্বর এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় কাজ করে যাই এবং যাব। আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন। তবে গ্যালারিতে আসবেন বা টিভিতে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন। ম্যাচ জমবে। জয় মা।'
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের পোস্ট, 'শুভ বিজয়া। বড়দের প্রণাম। বাকিদের শুভেচ্ছা। ঝড়-জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমার জীবন। ঈশ্বর এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় কাজ করে যাই এবং যাব। আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন। তবে গ্যালারিতে আসবেন বা টিভিতে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন। ম্যাচ জমবে। জয় মা।'
advertisement
advertisement
advertisement